বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » নাগরিকদের নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : খাদ্যমন্ত্রী
নাগরিকদের নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিদেশের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে দেশের খাদ্যশস্য ব্যাবসায়িদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নাগরিকদের নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ সেক্টরে যে সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তারা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার। এসময় তিনি মানসম্পন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি করে দেশের ভোক্তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে এদেশের খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিতে ব্যবসায়িদের প্রতি আহ্বান জানান। খবর তথ্য বিবরণীর।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সেক্টর লিডার ও সিইও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় মাঝে মাঝে সরকার ব্যবসায়িদের প্রতি কঠোর হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করে। যারা অন্যায় করে তাদের শাস্তি হয় উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত পক্ষে সরকার ব্যবসায়িদেও প্রতিপক্ষ নয়, বরং বন্ধু।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা আন্তর্জাতিক মানের খাবার তৈরি করুন, যেন বিদেশ থেকে আনতে না হয়। উল্টো আমরা বিদেশি বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারি।’
চন্দ্র মজুমদার বলেন, তৈরি পোশাকের পরে রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাত হতে পারে এটি। এ খাত কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করেছে। এ জন্য করোনার মধ্যে কৃষক নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়নি। খাদ্যমান পরীক্ষার জন্য সরকার ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া ৮টি মোবাইল ভ্যান ল্যাব ও জাইকার সাথে আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাদ্য ব্যবসায় নিযুক্ত প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।