শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » পঞ্জশিরে জোর লড়াই সরকার গঠনের প্রস্তুত তালেবান
পঞ্জশিরে জোর লড়াই সরকার গঠনের প্রস্তুত তালেবান
তালেবান আর দিন কয়েকের মধ্যেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, যদিও পঞ্জশিরে জোর লড়াই চলছে।
তালেবান পুরো আফগানিস্তানের দখল নিলেও পঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ এখনও তারা নিতে পারেনি। তারা এই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার তীব্র প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার পঞ্জশিরের পতন ঘটেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তালেবানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দাবি করা হয়নি। এছাড়া এলাকার লোকজন পরে জানিয়েছে, এ খবর ভুয়া।
রাজধানী কাবুল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জশিরের অবস্থান। সেখানে তালেবান বিরোধী মিলিশিয়া এবং সাবেক আফগান নিরাপত্তার বাহিনী নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট তালেবান বাহিনীকে মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
এদিকে পশ্চিমারা তালেবানের ব্যাপারে অপেক্ষা এবং দেখার নীতি নিলেও তাদের ঘিরে কিছু কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন রোববার কাতার যাচ্ছেন। এখানে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনকে সরিয়ে আনার মূল কেন্দ্র। তবে তালেবানের সাথে ব্লিংকেনের সাক্ষাতের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।
কাতার থেকে ব্লিংকেন জার্মানী যাবেন। সেখানে আফগানিস্তান বিষয়ে ২০ জাতির মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এবং জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেইকো মাস নেতৃত্ব দেবেন।
এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস ১৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের জন্য জেনেভা যাচ্ছেন। বৈঠকে আফগানিস্তানের জন্য মানবিক সহায়তার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।
এদিকে চীন বলেছে, তারা কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলাই রাখবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আমরা আশা করছি তালেবান উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক একটি রাজনৈতিক কাঠামো দাঁড় করাবে।
তালেবানের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, তারা এমন একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠন করবে যেখানে আফগানিস্তানের জাতিগত সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকে। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে না।
কাজের অধিকার এবং সরকারে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে কাবুলে প্রায় ৩০ জন নারী রাস্তায় নেমে এসেছেন। এর একদিন আগে পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাতে বেশ কিছু সংখ্যক নারীও একইধরনের বিক্ষোভ করেছিলেন।
তবে কাবুলে শুক্রবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা গেছে। দেশটির শীর্ষ ক্রিকেটারদের ট্রায়াল ম্যাচ দেখতে অনেকেই ভিড় করেছে। এ সময়ে তালেবান ও আফগান পতাকা পাশাপাশি উড়তে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা একে জাতীয় ঐক্যের প্রদর্শনী বলে বর্ণনা করেছেন।