শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখায় রাবাব ফাতিমার ধন্যবাদ
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখায় রাবাব ফাতিমার ধন্যবাদ
১৩৩ বার পঠিত
বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখায় রাবাব ফাতিমার ধন্যবাদ

---

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ মহামারি যে প্রভাব ফেলেছে তা প্রশমিত করতে আমরা বৈশ্বিক সংহতি এগিয়ে নিতে বিশেষ মনোযোগ দেব।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সর্বসম্মতিক্রমে ২০২২ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ কথা বলেন।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, কোভিড-১৯ মহামারি শান্তি বিনির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ঠিক তেমনই এক চ্যালেঞ্জিং সময়ে পিবিসি পরিচালনার জন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে বাংলাদেশকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

সংঘাতপূর্ণ দেশ বা অঞ্চলে শান্তি বিনির্মাণ সক্ষমতাগুলোর উন্নয়নে শান্তিরক্ষীরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এবং শান্তি বিনির্মাণ কাজে যুক্ত অন্যান্য অংশীজনকে সংঘাতের মূল কারণগুলো মোকাবিলায় যেভাবে সহায়তা করছে তা স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণ কার্যক্রমের আন্তঃসম্পর্ককে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষীরা যেসব দেশে নিয়োজিত সেই দেশগুলোর উন্নয়নে তারা যে অবদান রেখে চলেছে, শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই তা গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শান্তি বিনির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে পিবিসি সদস্য ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

জাতীয় পর্যায়ে শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক/আঞ্চলিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, সাউথ-সাউথ ও ট্রায়েঙ্গুলার কো-অপারেশন থেকে অনেক কিছুই অর্জন করা যেতে পারে। যেমন গুরুত্বপূর্ণ সম্পদগুলোর সঞ্চালন এবং উত্তম অনুশীলন ও উত্তম ধারণাগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা।
শান্তি বিনির্মাণে নারী ও যুবকদের পূর্ণ, সমান এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘নারী শান্তি ও নিরাপত্তা’ (ডব্লিউপিএস) এবং ‘যুব শান্তি ও নিরাপত্তা (ওয়াইপিএস) এজেন্ডাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ ও ইকোসককে সংযুক্ত করা এবং জাতিসংঘের পুরো ব্যবস্থাপনার সমন্বয় ও তা সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে সমন্বয়কারী ও মতামত প্রদানকারী হিসেবে পিবিসির ভূমিকা আরও সুসংহত করার ওপর জোর দেন তিনি।
রাবাব ফাতিমা বলেন, জাতীয় পর্যায়ে সুসংহত ও কার্যকর শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে যেসব সংস্থা, তহবিল, কর্মসূচি এবং জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম কাজ করছে তাদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল রাখতে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।
পিসবিল্ডিং কমিশন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সংস্থা। এই সংস্থা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য কাজ করে, যাতে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) থেকে নির্বাচিত সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের সমন্বয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিবিসি। জাতিসংঘে শীর্ষ অর্থ প্রদানকারী ও শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোও কমিশনের সদস্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই পিবিসির সদস্য। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ পিবিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।



আর্কাইভ