বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » প্রতারণার মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, যুবক গ্রেফতার
প্রতারণার মাধ্যমে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ, যুবক গ্রেফতার
প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর নগ্ন ছবি ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব-৪।
সোমবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন বশির উদ্দিন রোড এলাকায় অভিযান চালিযে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন নারীর বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও, ইমো ও ম্যাসেঞ্জার কথোপকথনের স্ক্রিনশট পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত খন্দকার সাব্বির আহম্মেদের (২৪) বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় র্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার এক ভিকটিম র্যাব-৪ বরাবর পর্নোগ্রাফির বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন। এর পর পরই অভিযোগের তদন্ত ও আসামি গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন বশির উদ্দিন রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, ভিকটিমের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হয় তার। তখন থেকেই ভিকটিমের সঙ্গে তার মাঝে মাঝেই ম্যাসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো এবং আস্তে আস্তে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের একপর্যায়ে ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুকৌশলে নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে বা এডিট করে।
এসব নগ্ন ছবি, ভিডিও বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হুমকি দিয়ে সাব্বির ভিকটিমকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরে ভিকটিম সাব্বিরকে বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্নভাবে তালবাহনা শুরু করে। একপর্যায়ে সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের কাছে টাকা দাবি করে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে ধারণকৃত নগ্ন ছবি, ভিডিও ভিকটিমের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের কাছে পাঠিয়ে দেবে বলে হুমকি প্রদান করে।
ভিকটিম যখন বুঝতে পারেন সাব্বির একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত, তখন ভিকটিম তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করলে আসামি ভিকটিমের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে তার কাছে থাকা সব নগ্ন ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল করবে বলে হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে সাব্বির ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের কাছে ওইসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সব অপরাধ স্বীকার করে। পরে তার মোবাইল ও গুগল ড্রাইভে বিপুল পরিমাণ নগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায় বলে জানায় র্যাব।