শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে ৪৬
ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে ৪৬
অতিবৃষ্টি ও হ্যারিকেন আইদার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিসহ ছয়টি অঙ্গরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জনে। কেবল নিউ জার্সিতেই মারা গেছে অন্তত ২৩ জন। এছাড়া নিউইয়র্ক, পেনসিলভ্যানিয়াতেও অনেক লোক প্রাণ হারিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের রেকর্ড গড়লো ঘূর্ণিঝড় আইদা। যার প্রভাবে বুধবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটিসহ নিউজার্সি এলাকায়। মাত্র এক ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড হয়েছে ৮ সেন্টিমিটার।
এরই মধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ। নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এমন অবস্থায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেস্ট জো বাইডেন।
নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফি বলেছেন, বেশিরভাগই মারা গেছেন তাদের গাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া বা পানিতে গাড়ি ভেসে যাওয়ার কারণে।
আইদায় বিধ্বস্ত ওই তিন রাজ্য থেকে ভয়াবহ কিছু দৃশ্য ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। অবিরাম বৃষ্টিপাত এবং তুমুল ঝড়ের জেরে লণ্ডভণ্ড জনজীবন। রাস্তাঘাটে যাতায়াত বন্ধ হলেও বুধবার পর্যন্ত চালু ছিল সাবওয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে স্টেশনগুলোতেও পানি ঢুকতে শুরু করে।
বাধ্য হয়ে মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি নিউইয়র্ক শহরে সাবওয়ে সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। নিউইয়র্কের সাবওয়েতে অন্তত ১৭টি ট্রেন আটকে পড়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বেইজমেন্টে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। নিউ ইয়র্ক শহরে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। ভারী বর্ষণের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে রেল এবং বিমান সেবা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নিউ ইয়র্ক ও নিউজার্সির সরকারি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি টর্নেডোও আঘাত হেনেছে নিউইয়র্কে।