সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » রাসেল-রিয়াদ নৈপুণ্যে বিপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল ঢাকা
রাসেল-রিয়াদ নৈপুণ্যে বিপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল ঢাকা
মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ছিটকে পড়া ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় ঢাকা। মাহমুদউল্লাহর ৪৭ ও রাসেলের ঝড়োগতিতে ৩১ রানের ওপর ভর করে ১৭.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মিনিস্টার ঢাকা।
আগের দুই ম্যাচে হারা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল এই ম্যাচেও প্রায় হারতে বসেছিল। তবে প্রথমে শুভগত ও পরে রাসেলকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ঢাকা ক্যাপ্টেন।
এর আগে ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে প্রথম তিন ওভারে ১০ রান তুলতেই চার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারায় ঢাকা। ব্যাট হাতে নেমে শূন্য রানেই মাঠ ছাড়েন আগের দুই ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ ৭ বলে করে ৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। দুই জনকে শিকার করেন বরিশালের পেসার শফিকুল ইসলাম। পরের দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাইম ও জহিরুল ইসলামকে সাজঘরের পথ দেখান আলজারি জোসেফ। আর তাতেই ১৩০ রানের লক্ষ্যে এখন ঢাকার কাছে পাহাড়সম।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শুভগত হোম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ঢাকা যখন একটু একটু করে জয়ের পথে অগ্রসর হচ্ছিল, তখনই বল হাতে আঘাত ডোয়াইন ব্রাভো। দুই বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ বলে ২৯ রান করে তাইজুলের হাতে বন্দি হন শুভগত। এরপর ক্রিজে এসে ঝড় তুলতে থাকেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। রিয়াদ ৪৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে দলীয় ১২৯ রানে মাঠ ছাড়েন। ১৫ বলে ৩১ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রাসেল। দুটি করে উইকেট তুলে নেন শফিকুল ও জোসেফ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখে শুনে খেলেন ফরচুর বরিশালের দুই ওপেনার শৈকত আলি ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ করা শান্তর উইকেট তুলে নিয়ে ২১ রানে জুটি ভেঙে দেন শুভগত হোম। এর আগে শৈকত হাসান মুরাদের ওভারে তামিমের হাতে জীবন পায়। তবে মুরাদ তার উইকেটটি তুলে নিতে ভুল করেননি। সমান এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে তিনি ১৮ বলে ১৫ রান করেন।
এরপর আন্দ্রে রাসেলে বলে শূন্য হাতে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়। ধীরগতিতে ২৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর ব্যাট হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন ক্রিস গেইল ও সাকিব আল হাসান। দুই বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ২৩ রান করে রুবেলের বলে কিপারের ক্যাচে বন্দি হন সাকিব। একপাশ আগলে রেখে ম্যাচে আধিপত্য করেন গেইল। তবে তাকে ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি লঙ্কান বোলার ইসরু উদানা। ৩০ বল মোকাবিলা করে ইউনিভার্স বস তিন বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহ হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৯৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় বরিশাল।
শেষদিকে অবশ্য দলের হাল ধরেন ডোয়াইন ব্রাভো। তাকে সঙ্গ দেন স্বদেশি জোসেফ আলজারি। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে জোসেফকে সাজঘরে ফেরান আরেক ক্যারিবীয় বোলার আন্দ্রে রাসেল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন আন্দ্রে রাসেল ইসরু উদানা।