সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » করোনা নিয়ে একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী, এবার যা জানা গেল
করোনা নিয়ে একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী, এবার যা জানা গেল
করোনার একের পর এক ঢেউয়ে বিশ্ব যখন নাকাল তখন আশার বাণী শোনাচ্ছেন গবেষকরা। তবে বিশেষজ্ঞদের একের পর এক সতর্কতার মধ্যে তাদের সেই আশার বার্তা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কোভিড মহামারির ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার প্রধান সহসাই মহামারি শেষ হবে না বলে সতর্ক করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউইচও) ইউরোপের প্রধান হান্স ক্লাজ বলেছেন, আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপের ৬০ শতাংশ মানুষ কোভিডের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরই শক্তি হারিয়ে বিলীন হবে মহামারি। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসির ভবিষ্যদ্বাণীকে সমর্থন দিলেন ক্লাজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের প্রধান হান্স ক্লাজ বলেন, ওমিক্রনের স্ফীতির মাধ্যমে একটি নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে কোভিড-১৯। মহামারি একপ্রকারের শেষ পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে এর পক্ষে বেশকিছু প্রমাণ ও যুক্তি রয়েছে। আমরা মনে করি চলতি বছরের শেষে কোনো একসময় কোভিড-১৯ ফের তার প্রভাব বাড়াবে। তবে তা যে মহামারি মতো প্রভাব বিস্তার করবে, তেমন না-ও হতে পারে।
মহামারি শেষ নিয়ে আশার কথা শোনালেও কোভিডবিধি মেনে চলার সতর্কবার্তা দিয়েছেন হান্স। চলতি বছরের শেষ দিকে ফের কোভিডের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে ধারণা তার। তবে তা অতিমারির মতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে না বলে দাবি হান্সের। বরং তা মৌসুমি ফ্লু-র মতো সাধারণ রোগে পরিণত হবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে গেল সপ্তাহে সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস, করোনাভাইরাস মহামারি ‘কোথাও অবসানের পথে নয়’ বলে সতর্ক করেন। ওমিক্রনে মৃদু উপসর্গ ও ঝুঁকির মাত্রা কম থাকা নিয়েও হুঁশিয়ার করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, ওমিক্রন মৃদু অসুস্থতা তৈরি করে এমন বর্ণনা বিভ্রান্তিকর।
ওমিক্রনের মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী মহামারির অধ্যায় শেষ কিংবা সাধারণ রোগের স্তরে পৌঁছাতে পারে বলে আশার কথা শোনান যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি। তার কথার জেরেই ওই মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।