রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | রংপুর | শিরোনাম » তীব্র শীতে কাঁপছে নীলফামারী তীব্র শীতে কাঁপছে নীলফামারী
তীব্র শীতে কাঁপছে নীলফামারী তীব্র শীতে কাঁপছে নীলফামারী
মাঘের প্রথম দিন থেকে কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে হিমালয়ের পাদদেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর মানুষ। তাপমাত্রা কমতে শুরু করা, ঘন কুয়াশা ও বাতাসের বেগ বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত।
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। শীতে চরমে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ। শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে বয়স্ক ও শিশুরা।
গত দুই দিন থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করা ও বাতাসের গতি বাড়ায় শীতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। শীতবস্ত্র অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল, দরিদ্র আর নিন্মআয়ের মানুষ।। হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে কর্মের সন্ধানে বের হচ্ছেন শ্রমজীবীরা।
শীতের দাপটে কাজে যেতে না পারায় কমে গেছে তাদের আয় রোজগার। বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ৬টি হাসপাতালে আউটডোর আর ইনডোরে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। উষ্ণতার পরশ নেওয়ার চেষ্টায় সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে করছেন শীত নিবারণের চেষ্টা। ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয় নিয়েছে স্টেশনের বারান্দায়, টার্মিনালে।
সৈয়দপুর রেলস্টেশনে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষ রহিম, কামরান, তারেক কালাম ও ময়মুন জানান, একটি কম্বলে শীত নিবারণ হচ্ছে না, কয়েকটি মোটা কাপড় জড়িয়ে আছে তারা, তাতেও শীত যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত তারা কোনো শীতবস্ত্র পায়নি।
টার্মিনাল এলাকার পরিবহন শ্রমিক আশরাফ, মহিউদ্দিন, মোজাফ্ফর ও নইম জানান, ভোরবেলায় উঠে আসতে তীব্র ঠান্ডা লাগে, পেটের তাগিদে রোজগারে আসতে হয়। কয়েকটি গরম কাপড় পড়েছি শীত মানছে না।
রিকশা, ভ্যান ও অটোচালক মনজিল, কালাম, নাদিম বলেন, সকালে উঠে গাড়ি চালাতে ইচ্ছা করে না। উপায় নেই, কামাই না করলে সংসার চলবে কী দিয়ে?
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহিম জানান, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে আউটডোর ও ইনডোরে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনশ’ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নীলফামারীতে গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়েসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আজকের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়েস। কুয়াসার ঘনত্ব এত বেশি যে আকাশ দেখা যাচ্ছে না। বাতাস বইছে ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৮ পার্সেন্ট।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, শীতের প্রকোপ খুব একটা কমবে না। আগামী ২-৩ দিন তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করতে পারে।