সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনের জীবন্ত গল্প : পলকরাষ্ট্রপতির ভাষণ নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনের জীবন্ত গল্প : পলক
রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনের জীবন্ত গল্প : পলকরাষ্ট্রপতির ভাষণ নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনের জীবন্ত গল্প : পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রাষ্ট্রপতির ভাষণকে নিম্ন আয় থেকে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে উঠার জীবন্ত গল্প বলে উল্লেখ করেছেন।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৬ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। আজ রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য সামসুল হক টুকু।
আজ ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার প্রথম দিনে অন্যান্যের মধ্যে আজ অংশ নেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সরকারি দলের অসীম কুমার উকিল, আনোয়ারুল আবেদীন খান, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আমিরুল আলম মিলন, বেগম উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং খালেদা খানম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গত সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে একটি প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এ উত্তরণ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে।
পলক সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ে’র নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে স্থল স্যাটেলাইট স্থাপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল দেশের যাত্রার যে ভিত্তি রচনা করেছেন, মহাশূণ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও স্থাপনের মাধ্যমে তা পূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। এ সময়ের মধ্যে দেশকে ২ জি থেকে পর্যায়ক্রমে ৩, ৪ ও ৫ জিতে উন্নীত করা হয়েছে। ১৭ লাখ জনসংখ্যার দেশে মোবাইল ব্যবহাকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৭ লাখ, সিম ব্যবহার হচ্ছে ১৮ লাখ, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি।
তিনি বলেন, সারাদেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাইবার অপটিক্যাল সংযোগ স্থাপন করা সম্পন্ন হয়েছে। এর পর ২১ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮শ’ ইউনিয়নকে সরাসরি এ সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে এ সংযোগ স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সরকারি কার্যক্রম ডিজিটাইজ করে পেপারলেস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিনিময় নামে নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাশলেস আর্থিক লেন-দেনও অচিরে চালু করা হবে।
তিনি বলেন, এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ’৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ’৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিদেশী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে বিএনপি-জামায়াত দেশ ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্রান্ত শুরু করে। এবারো আবার তা শুরু করে জনগণকে নানভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালোনো হচ্ছে। এ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে এ সব মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক এ দেশের জনগণ। বিএনপি-জামায়াত বার বার বিদেশীদের কাছে নালিশ করে দেশ বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সম্পর্কে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।
তিনি এক জন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কীভাবে তারেক রহমান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকছেন তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।