রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: ডাকমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: ডাকমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে এ যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের টিকে থাকা কঠিন হবে।
আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও সৃজনশীল, তাদের কাছে অসাধ্য বলে কিছু নেই। তাদেরকে আগামী দিনের উপযোগী করে তৈরি করতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আইইউবিএটি আয়োজিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ডাকমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে এটি হবে আমাদের জন্য একটি কঠিন সংকট। এ সংকটের দায় আমাদেরকেই বহন করতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এ দায়মুক্ত করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভ্যতার রূপান্তরে অতীতের কোনো শিল্পবিপ্লবে এ ভূখণ্ডের মানুষ অংশ নিতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।
আইওটি ও ইউপিইউয়ের সদস্যপদ অর্জন, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের অভিযাত্রা শুরু করেন বঙ্গবন্ধু জানান মন্ত্রী।
পঁচাত্তর-পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছেন যোগ করেন মন্ত্রী।
২০০৯ থেকে গত ১৩ বছরে এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে দেশ বলে উল্লেখ করেন শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অন্যতম এ পথপ্রদর্শক। বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভজি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছে। এই প্রযুক্তি মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিল্প ক্ষেত্রের পাশাপাশি কৃষিতে বিস্ময়কর রূপান্তর সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে দেশের প্রতিটি গ্রামে একজন গ্র্যাজুয়েট সৃষ্টি আইইউবিএটি‘র উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। বেসরকারি পর্যায়ে আইইউবিএটি‘র মতো একটি বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আলীম উল্লাহ মিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ভিসি ও রেজিস্ট্রার আলোচনায় অংশ নেন।