শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » নিম্নমানের বৈদ্যুতিক পণ্যে ব্যবহার হচ্ছে নামিদামি কোম্পানির লোগো, আটক ২
নিম্নমানের বৈদ্যুতিক পণ্যে ব্যবহার হচ্ছে নামিদামি কোম্পানির লোগো, আটক ২
অনুমোদনহীন কারখানায় তৈরি হচ্ছে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পণ্য। পরে তা নামমাত্র দামে কয়েক হাত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। নিম্নমানের এসব পণ্যে ঝুঁকি বাড়ছে ব্যবহারকারীদের। বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি ঘটছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড।
অসাধু সিন্ডিকেটের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার নকল বৈদ্যুতিক পণ্য।
কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বলা হয় সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। অনেক সময় তদন্তে তার সত্যতাও মেলে। ফায়ার সার্ভিসের হিসাবেও সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলোর ৭৫ থেকে ৮০ ভাগের পেছনে দায়ী বিদ্যুৎ। যার মূল কারণ নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক পণ্য।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের একটি মেশিন যা দিয়ে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকার নকল বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরি করা হতো। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার নকল বৈদ্যুতিক সুইচ সকেট ও বাটন হোল্ডার। কারখানাটিতে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সুপারস্টারের নকল পণ্য তৈরি করা হতো। গ্রেফতার করা হয়েছে মালিক ও কারিগরকে।
গত কয়েক মাসে সুপারস্টার কোম্পানির বিক্রি কমে গেছে ৫০ শতাংশ। বাজার জরিপ করতে গিয়ে মার্কেটিং বিভাগ দেখতে পায় তাদের বৈদ্যুতিক পণ্য হুবহু নকল করে কম দামে বাজারজাত করা হচ্ছে। মাত্র ২ টাকা খরচে তৈরি করা সুইচ অসাধু চক্রটি পাইকারি দরে ১০ টাকায় বিক্রি করে আসছিলে।
নিম্নমানের এ নকল পণ্যে বাজার সয়লাব। এতে একদিকে ক্রেতা হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর ঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র তৈরি করে আসছিলেন। তারা নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করছে অথচ সেখানে লেখা হচ্ছে উচ্চমানের নাম এবং ভালো কোম্পানির লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। সবাই জানে বেশির ভাগ অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় বিদ্যুৎ শর্ট সার্কিটকে। মূলত বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের মূল হচ্ছে এসব নিম্ন মানের বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র।
নকল পণ্য শনাক্তে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে হলমার্ক ব্যবহারের পাশাপাশি গ্রাহকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।