শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বিলবাও
ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বিলবাও
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে আগেই পা রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গী হয়েছে অ্যাথলেটিক বিলবাও। অ্যাতলেটিকোকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে অ্যাথলেটিক ক্লাব। রোববার (১৬ জানুয়ারি) ফাইনালে দু’দল একে অপরের মুখোমুখি হবে।
রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অ্যাতলেটিকো বনাম বিলবাও ম্যাচের শুরুতেই গোল করেছিলেন হুয়াও ফেলিক্স। যদিও অফসাইডের জন্য অ্যাতলেটিকোর এ গোলটি বাতিল হয়ে যায়। এরপরেও অব্যাহত থাকে দিয়েগো সিমিওনের দলের দাপট। বেশ ক’বার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সফল হয়নি লুইস সুয়ারেজরা। প্রথমার্ধ্বে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় অ্যাতলেটিকো। সমতা আনতে এরপর আক্রমণে ধার বাড়ায় বিলবাও। ফল আসে ৭৭তম মিনিটে। সেট পিস থেকে গোল করেন আলভারেজ। এর চার মিনিট পর নিকো উইলিয়ামসের গোলে লিড নেয় বিলবাও। শেষ পর্যন্ত আর সমতা আনতে পারেনি মাদ্রিদের ক্লাবটি। ২-১ ব্যবধানের জয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে পা রাখে বিলবাও।
এর আগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে হারের তিক্ততা দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের জয় ৩-২ গোলে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ফলাফল ২-২ গোলে ড্র ছিল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে ভালভার্দের গোলে একই সাথে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতে মাদ্রিদিস্তারা।
মেসি-রোনালদোরা নেই, তাতে কি! এল ক্লাসিকোর উন্মাদনা যে ঐতিহাসিক। স্থান, কাল, পাত্রের উপর নির্ভর করতে হয়নি। যদি হয় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো। তাও আবার স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার ম্যাচ। দম বন্ধ করা এমন ম্যাচের একটি মুহূর্তও কেউ মিস করতে চাইবেন না।
ধারে ভারে এই রিয়াল মাদ্রিদের কাছাকাছিও ছিল না বার্সেলোনা। দুই দলের সবশেষ চার লড়াইয়ে সবকটিতে বিজয়ী দলের নাম রিয়াল। ম্যাচের ২৫তম মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধেই রিয়ালকে বোকা বানিয়ে বার্সাকে সমতায় ফেরাল লুক ডি ইয়ং। বোঝা গেল জমে উঠছে ধ্রুপদি লড়াই।
বিরতি থেকে ফিরে শুরু হয় এগিয়ে যায় খেলা। জাভি-আনচেলত্তি দু’জনেই ফাতি-বেনজেমাদের নিয়ে অলআউট ফুটবলের আক্রমণের পসরা সাজাল। আর তা বুঁদ হয়ে দেখল বিশ্ব। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়ে গেল বার্সা। তবে অভিজ্ঞতার কাছে পারল না। বেনজেমার বুট জোড়ায় ভর করে ব্যাবধান ২-১ করে রিয়াল। ম্যাচের তখনও বাকি ১৮ মিনিট। মাথা নত করা যাবে না কোনো মতেই। এ যে মর্যাদার লড়াই! ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের বাকি তখন ৭ মিনিট। সবাই ধরেই নিয়েছিল এল ক্লাসিকোতে টানা পঞ্চম হারের স্বাদ পেতে যাচ্ছে বার্সা। কিন্তু অন্তিম সময়ে গোল করে বার্সাকে আবারও সমতায় ফেরান মেসির জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানো আনসু ফাতি। যেনো মেসির মতোই ত্রাণকর্তা রূপে বাঁচালেন গ্রহের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবকে। ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে।
তবে লম্বা ম্যাচের টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে পারলো না বার্সা। লা লিগার শীর্ষ দলের সঙ্গে ভুল করলে তার মাসুল দিতেই হবে। দিতেও হলো বার্সেলোনার। এক্সট্রা টাইমের ৮ম মিনিটে রদ্রিগোর পাস ভালভার্দের দারুণ এক গোলে ম্যাচে তৃতীয় বারের লিড নেয় রিয়াল। স্নায়ুর চাপের ম্যাচে বাকি সময় আর সেই গোল পরিশোধ করতে পারেনি বার্সা।