বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » এইচএসসি: মূল্যায়ন প্রক্রিয়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও যুক্তের পরামর্শ
এইচএসসি: মূল্যায়ন প্রক্রিয়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও যুক্তের পরামর্শ
চলতি বছরের আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে হতে পারে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা। এবার মানবণ্টনে পরিবর্তন এনে সব বিষয়েই পরীক্ষা নিতে চায় শিক্ষা বোর্ড
ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা। গবেষকরা বলছেন, বোর্ডের পাশাপাশি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করলে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সহজ হবে।
মহামারি করোনার কারণে পুরো সিলেবাস শেষ করতে পারেননি ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তাই আবশ্যিক বিষয় বাদ দিয়ে শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় ওই বছরে।
এখনো চলছে করোনার প্রকোপ। তাই নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে আরও পিছিয়ে আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। তবে এবার শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে নয় মানবণ্টনে পরিবর্তন এনে হলেও সব বিষয়েই পরীক্ষা নিতে চান সংশ্লিষ্টরা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকে তাহলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষাটা নেয়া। আমাদের টার্গেট আছে ওই সময়টাতে নেওয়ার, তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আমাদের পরিকল্পনা আছে সব বিষয়ে, হয়ত আমরা ১০০ নম্বরে পরীক্ষাটা নিতে পারলাম না কিন্তু একটু কমিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগে যেভাবে সিলেবাস দিয়েছি, কিন্তু সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কোর্সটাও শেষ করতে হবে। শহরের কলেজগুলো আগেই সিলেবাসটা শেষ করে।
নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও বোর্ডের এমন পরিকল্পনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, আমরাও চাই শিক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষা দিক, তাহলে সঠিক মেধাটা তাহলে যাচাই হয়। এখন আমরা যে মহামারি পার করছি, এই মুহূর্তে কতটুকু করা যাবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে আমি মনে করি তাদের দাবিটা যৌক্তিক। যদি পরিবেশ পাই তাহলে সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
শিক্ষা গবেষক বলছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বোর্ডের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সংক্ষিপ্ত সময়েও সব বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছি এ বিষয়ে পরীক্ষা হবে না, তাতে কী হচ্ছে, তাতে একজন শিক্ষার্থীর ক্ষতি হচ্ছে। আমরা তা না করে আমরা তিনটি বিষয় মিলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেব বা চারটি বিষয় মিলিয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে, ২৫ করে করে।
তিনি আরও বলেন, সামনে যে পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমাদের একটা সুযোগ রয়েছে, সেটা কি, আমরা কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে পারি। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগে থেকে নির্দেশনা দিতে হবে যে, তারা মৌলিক বিষয়গুলো ২৫ নম্বরের পরীক্ষা আপনারা নেবেন, আর ২৫ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাহলে আমরা ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেব। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষন গ্যাপটা পূরণ হয়ে যাবে। তাহলে বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বা হোম-বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকরা যে অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন, অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক অথবা শ্রেণিকক্ষভিত্তিক তারা যে কেনো উপায়ে পরীক্ষাটা নিয়ে রাখতে পারেন। ২৫ নম্বর তাদের হাতে থাকতে পারে মানে শিক্ষকদের, যেটি নতুন শিক্ষাক্রমের চর্চা হয়ে যাবে আগে থেকে। আর আরেকটি হলো পরবর্তীতে পাবলিক পরীক্ষা হবে তখন অবশ্যই মৌলিক পরীক্ষাগুলো বিবেচনা করতে হবে। মৌলিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে শুধু ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পরীক্ষা নেওয়াতে যে ক্ষতিটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, তাতে তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জায়গাটি শূন্য থাকছে এটি পূরণ করা খুবই কঠিন হবে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রতিবছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। চলতি বছরের আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে হতে পারে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা। এবার মানবণ্টনে পরিবর্তন এনে সব বিষয়েই পরীক্ষা নিতে চায় শিক্ষা বোর্ড
ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা। গবেষকরা বলছেন, বোর্ডের পাশাপাশি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করলে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সহজ হবে।
মহামারি করোনার কারণে পুরো সিলেবাস শেষ করতে পারেননি ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। তাই আবশ্যিক বিষয় বাদ দিয়ে শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয় ওই বছরে।
এখনো চলছে করোনার প্রকোপ। তাই নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে আরও পিছিয়ে আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। তবে এবার শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে নয় মানবণ্টনে পরিবর্তন এনে হলেও সব বিষয়েই পরীক্ষা নিতে চান সংশ্লিষ্টরা।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনা আছে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকে তাহলে আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষাটা নেয়া। আমাদের টার্গেট আছে ওই সময়টাতে নেওয়ার, তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আমাদের পরিকল্পনা আছে সব বিষয়ে, হয়ত আমরা ১০০ নম্বরে পরীক্ষাটা নিতে পারলাম না কিন্তু একটু কমিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগে যেভাবে সিলেবাস দিয়েছি, কিন্তু সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের কোর্সটাও শেষ করতে হবে। শহরের কলেজগুলো আগেই সিলেবাসটা শেষ করে।
নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও বোর্ডের এমন পরিকল্পনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষকরা।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, আমরাও চাই শিক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষা দিক, তাহলে সঠিক মেধাটা তাহলে যাচাই হয়। এখন আমরা যে মহামারি পার করছি, এই মুহূর্তে কতটুকু করা যাবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে আমি মনে করি তাদের দাবিটা যৌক্তিক। যদি পরিবেশ পাই তাহলে সেভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
শিক্ষা গবেষক বলছেন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বোর্ডের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে সংক্ষিপ্ত সময়েও সব বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের বলে দিচ্ছি এ বিষয়ে পরীক্ষা হবে না, তাতে কী হচ্ছে, তাতে একজন শিক্ষার্থীর ক্ষতি হচ্ছে। আমরা তা না করে আমরা তিনটি বিষয় মিলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেব বা চারটি বিষয় মিলিয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে, ২৫ করে করে।
তিনি আরও বলেন, সামনে যে পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমাদের একটা সুযোগ রয়েছে, সেটা কি, আমরা কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে পারি। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগে থেকে নির্দেশনা দিতে হবে যে, তারা মৌলিক বিষয়গুলো ২৫ নম্বরের পরীক্ষা আপনারা নেবেন, আর ২৫ নম্বর ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাহলে আমরা ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেব। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষন গ্যাপটা পূরণ হয়ে যাবে। তাহলে বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বা হোম-বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকরা যে অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন, অ্যাসাইনমেন্ট ভিত্তিক অথবা শ্রেণিকক্ষভিত্তিক তারা যে কেনো উপায়ে পরীক্ষাটা নিয়ে রাখতে পারেন। ২৫ নম্বর তাদের হাতে থাকতে পারে মানে শিক্ষকদের, যেটি নতুন শিক্ষাক্রমের চর্চা হয়ে যাবে আগে থেকে। আর আরেকটি হলো পরবর্তীতে পাবলিক পরীক্ষা হবে তখন অবশ্যই মৌলিক পরীক্ষাগুলো বিবেচনা করতে হবে। মৌলিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে শুধু ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পরীক্ষা নেওয়াতে যে ক্ষতিটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, তাতে তাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জায়গাটি শূন্য থাকছে এটি পূরণ করা খুবই কঠিন হবে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রতিবছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।