শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | বন্দর | শিরোনাম » ‘আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত’- আবদুল হাই’র হুসিয়ারী
‘আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত’- আবদুল হাই’র হুসিয়ারী
যাদের কথায় নারায়ণগঞ্জে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায় সেই ওসমান পরিবারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও নেতাদের বিষেদাগার করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগের সাভাপতি আব্দুল হাই । কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্য করে আবদুল হাই সমাবেশে বলেছেন, “বন্দরে কয়েকদিন আগে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে আমরা একটা মাত্র নৌকা পেয়েছি, তিনটা লাঙ্গল পেয়েছে। এখানে আমাদের বন্দরের সেক্রেটারি কাজিম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো। কিন্তু তাকে জয়ী করা হয়নি। এখানের এমপি কিন্তু নৌকার না। লাঙ্গল মার্কার। তারা রাজাকারপুত্র মাকসুদকে মনোনয়ন দেয়। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের চেয়ারম্যান বানায়।”
এ সময় সাংসদ সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে আব্দুল হাই বলেন, “আপনাদের লজ্জা করা উচিত। আপনাদের কী দেয় নাই নেত্রী ! আপনাদের তিন ভাইকে এমপি করেছেন। অথচ একটা নমিনেশন সহ্য করতে পারেন না।”
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মী সমাবেশটি বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমরা এখানে লাঙ্গল দেখতে চাই না। লাঙ্গল এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। যেখানে খুশি লাঙ্গল দিয়েন। এখানে পাঁচটি আসনেই আমরা নৌকা চাই। যাকেই প্রার্থী দিবেন সে যেন আওয়ামী লীগের হয়। তাহলে আমরা সব নির্বাচনেই জয়লাভ করবো।”
আবদুল হাই অভিযোগ করে বলেন, “এখানে লাঙ্গলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রার্থীকে (আইভী) কিন্তু এখনো সমর্থন দেয় নাই। এখনো লাঙ্গলের এমপি আমাদের সমর্থন দেয় নাই। তারা তাদের কর্মীদের বলছে তোমরা হাতি মার্কায় ভোট দেও। এটা কিন্তু সত্য কথা, আপনারা যাচাই বাছাই করেন।”
আব্দুল হাই হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, “যারা অপরাজনীতি করে, আপনারা কিন্তু দেখছেন টাকলা মুরাদসহ আরও অনেকে মাইনাস হয়ে গেছে। এখন সময় আছে আপনারা নৌকাকে সমর্থন দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীকে যারা গ্রহণ করেন না, তিনি আওয়ামী লীগ করেন না ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেন না। তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না।”
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল, সুজিত রায় নন্দী, শাহাবউদ্দিন ফয়রাজি, সাবেক এমপি সানজিদা খানম।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ মির্জা আজম ও নজরুল ইসলাম বাবু মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও নির্বাচনী আচরণ বিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা কোনো বক্তব্য রাখেননি তিনি। শীর্ষ এই নেতাদের পাশাপাশি আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাড. খোকন সাহা প্রমূখ ।