শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | জাতীয় | শিরোনাম » চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২৩৩ বার পঠিত
রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

---

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য টাগবোট সংগ্রহ, সার্ভিস জেটি নির্মাণ, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনা সংযোজন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য নতুন মাইলফলক।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার চট্টগ্রামে বন্দরের সার্ভিস জেটি উদ্বোধন এবং নতুন সংগৃহিত টাগবোটের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর ‘রিজিওনাল মেরিটাইম কানেক্টিভিটি হাব’ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মিত হয়েছে। ‘বে-টার্মিনাল’ এবং ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর’ নির্মিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও উন্নয়ন শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে ৫টি অগ্রসরমান দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর বাংলাদেশ সঠিক নেতৃত্ব পায়নি। এখন শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়নের ওপরে, রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন একটি সার্ভিস জেটি চালু করা হলো। কর্ণফুলী নদীর তীরে নগরীর আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং এলাকায় ১ নম্বর জেটির উজানে এ জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। সার্ভিস জেটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। জেটিতে ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ মিটার প্রস্থের ৫ মিটার ড্রাফটের (গভীরতা) ১০০ মিটার লম্বা দুটি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।
নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাসেও এ জেটি ব্যবহার করা যাবে। নতুন সার্ভিস জেটি চালু হওয়ায় বন্দরের মালিকানাধীন বিভিন্ন জাহাজের সুরক্ষা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি আসবে। বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ, টাগবোট, জরিপ জাহাজ, আউটার থেকে বিদেশি জাহাজগুলোকে জেটিতে আনার দায়িত্বে থাকা পাইলটদের বোট, ফায়ার ফাইটিং বোট, পানি সরবরাহকারী জাহাজসহ প্রয়োজনীয় সকল জাহাজ সার্ভিজ জেটি ব্যবহার করবে। বন্দরে আগত বড় বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের নিরাপদ বার্থিং/আনবার্থিংয়ে সহায়তা প্রদান টাগবোটের মূল কাজ।
পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নবনির্মিত নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ড, নবনির্মিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং টেনিস কোর্ট এর উদ্বোধন করেন।
আরও উল্লেখ্য, নিউমুরিং কন্টেইনার ওভারফ্লো ইয়ার্ডটি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর সুবিধা বৃদ্ধির যুগোপযোগি চাহিদা মিটাবে। ইয়ার্ডটির আয়তন ৯০,৫২১ বর্গমিটার। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭৬ কোটি টাকা। সুইমিংপুল কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল গ্রাউন্ড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৩৩ লাখ টাকা।



আর্কাইভ