শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পঞ্চাশে পা দিয়েছে : ‘পথ চলার ৫০’ উদযাপন করা হচ্ছে
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পঞ্চাশে পা দিয়েছে : ‘পথ চলার ৫০’ উদযাপন করা হচ্ছে
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ৫০ বছরের পথচলা শুরু হয়েছে।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত পর্যটন কর্পোরেশনের ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কর্পোরেশনের উদ্যোগে নানা-কর্মসূচি গ্রহণের মধ্যদিয়ে ‘পথ চলার ৫০’ উদযাপিত হচ্ছে।
পঞ্চাশে পা দেয়ার প্রথম দিনে আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা অনুষ্ঠান, লোগো উন্মোচন, কেক কাটা, র্যালিসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি।
তিনি এ অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে যে ক্ষেত্রগুলির উপর বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন, তার মধ্যে পর্যটন অন্যতম। জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশে পর্যটনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি ও মনুষ্যসৃষ্ট সকল নান্দনিক সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন’- যা এদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান।
মাহবুব আলী জানান,পেরিয়ে আসা দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকাগুলোতে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, ডিউটি ফ্রি অপারেশন্স, রিসোর্ট, প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ইত্যাদি নির্মাণ করে পর্যটকদের মানসম্মত খাবার, আবাসন এবং নানাবিধ পর্যটন-সেবা প্রদান করে আসছে। দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতেও বিগত বছরগুলোতে যথেষ্ট অবদান রেখেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউটটিও পরিচালনা করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিবছর প্রায় ১৬০০ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৬০হাজারেরও অধিক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের অধিকাংশই দেশে বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,দেশে পর্যটন শিল্পের প্রসারের কারণে এ খাতে দক্ষ জনশক্তির ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায় ২০১৭ সালে ন্যাশনাল হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সিটিউট’কে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ সমাপ্তির পথে। এতে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষ জনশক্তির অধিকতর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল যে পর্যটন শিল্পের, সময়ের পরিক্রমায় তা তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। তাঁর ( প্রধানমন্ত্রীর) পর্যটনবান্ধব নীতিমালা ও কার্যক্রমের ফলে দেশের পর্যটনশিল্প এখন বিকাশের নতুন অধ্যায়ে উপনীত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিপুলভাবে বিকশিত হচ্ছে এ খাতের বেসরকারি উদ্যোগ, যা এ শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক।
মাহবুব আলী এ সময় জানান, পর্যটন কর্পোরেশন বিগত ১২ বছরে প্রায় ২শ’ ৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে । এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ৩শ’ ৩৫ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম গোলাম কিবরিয়ার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি-বেসরকারি পর্যটন অংশীজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।