সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | রূপগঞ্জ | শিরোনাম » ভূলতা ও গোলাকান্দাইল মহাসড়কে ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি
ভূলতা ও গোলাকান্দাইল মহাসড়কে ফুটপাত বসিয়ে চাঁদাবাজি
রূপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল ও ভূলতাসহ কয়েকটি স্থানে অবৈধ দোকানপাট ও কাঁচাবাজার, কাঁপড়ের হাট বসিয়ে চলছে জমজমাট ব্যবসা। আর এসব দোকান থেকে পুলিশসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজরা।
অবস্থাটা এমন, ভূলতা ফ্লাইওভার নিচের সড়কটি পুরোটাই টাকার খনি। জড়িত রয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, হাইওয়ে পুলিশসহ ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ।
জানা গেছে, ভূলতা ফ্লাইওভারের নিচের সড়কটা যেন টাকার খনি। এছাড়া সড়কের পাশে টিন বাঁশ দিয়ে অবৈধ দোকান তুলে মাসিক ভাড়াও হিসেবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের নাম ব্যবহার করে অনেকেই ভূলতা ফ্লাইওভারের নিচে জায়গা নিজেদের কবজায় রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অস্থায়ী দোকানদারের কাছ থেকে পাওয়া গেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ফলে মহাসড়কের এসব জায়গায় যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের কারণে পথচারী থেকে শুরু করে যাত্রীরাও সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এছাড়া সড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাতো প্রায়ই ঘটছে।
সরেজমিন সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দেখা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল, সাওঘাট থেকে ভূলতা ফ্লাইওভারের নিচের বিভিন্ন অংশের জায়গাও দখল করে বসেছে তিন শতাধিক দোকান।
চারলেন সড়কসহ ফ্লাইওভারের নিচের উপজেলার গোলাকান্দাইল ও ভূলতা এলাকায় মহাসড়কের উপর উভয় পাশ দখল করে অবৈধ দোকান পাট ও কাঁচাবাজার বসিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ব্যস্ততম হাইওয়ে মহাসড়কের দু‘পাশের অংশের বেশিরভাগই এখন হকারদের দখলে।
এতে সড়কের ওই স্থানে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বাঁধার সৃষ্টি করেছে। ফ্লাইওভার থাকা সত্বেও দুই পাশের সড়ক বন্ধ থাকায় প্রতিদিন যানজট আর দুর্ভোগ লেগেই থাকছে। মহাসড়কে উপর বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর তিন শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান রয়েছে এ জায়গায়।
এসব ভাসমান দোকান ও বাজার থেকে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ প্রতিদিন ৭০ হাজার থেকে ১লাখ টাকার মতো চাঁদা আদায় করছে। এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বসেন।
প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে দিতে হয় স্থানীয় নেতাদের। ডিমের দোকানদার জানান, আমার প্রতিদিন তিনজনকে টাকা দিতে হয়। ছাত্র লীগের নামে ৪০ টাকা আর যুব লীগের নামে ৩০ টাকা এছাড়া একজন পুলিশের কথা বলে ২০ টাকা করে চাঁদা নেয়।
আর এভাবেই আমার চাঁদা দিয়ে এখানে বসতে হয়। কিছুদিন আগেও হাইওয়ে পুলিশের নেতৃত্বে উপজেলার গোলাকান্দাইল হইতে ভূলতা পর্যন্ত মহাসড়ক ও ফুটপাত থেকে দু’শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় বর্তমানে এসব আবার গজিয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে বাজার স্থাপনার মূলহোতাদের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করা হলে তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কথা না বলেই এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে ভূলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মহাসড়কের দায়িত্ব আমার না। তবুও হাইওয়ে পুলিশ যদি আমাদের ডাকে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমাদের পুলিশের লোক চাঁদাবাজি করে সেইটা আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভূলতা হাইওয়ে পুলিশের টিআই সালাউদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা এসব উচ্ছেদ করে ছিলাম। এছাড়া আমরা প্রতিদিনই এসব রাস্তার উপরের অবৈধ দোকান তুলে দেয়ার জন্য আমাদের একটা টহল পুলিশের টিম রয়েছে। একেবারে এসব রাস্তার উপরের দোকানসহ ফুটপাত উচ্ছেদ করা সম্ভব না।