রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিক্ষা ও প্রযুক্তি | শিরোনাম » মানবদেহের অণুজীব নিয়ে গবেষণায় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
মানবদেহের অণুজীব নিয়ে গবেষণায় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
মানবদেহে থাকা বিভিন্ন ধরনের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োম নিয়ে দেশে গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ রাজধানীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিকেল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম)-এ মাইক্রোবায়োমের সাথে স্বাস্থ্য এবং সংক্রামক ব্যাধির সম্পর্ক নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান মাইক্রোবায়োম নিয়ে গবেষণায় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেন।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন মাইক্রোবায়োমের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে বাড়ছে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ইজিবায়োম ইনক. (যুক্তরাষ্ট্র)-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. নূর এ হাসান। তিনি জানান, মানবদেহে বসবাস রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অণুজীব বা মাইক্রোবায়োমের। এর প্রায় ৯৫ ভাগের বসবাস অন্ত্রে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘মাইক্রোবায়োম নিয়ে গবেষণা আরো আগে শুরু করা দরকার ছিল। এখন আপনারা শুরু করতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের দুইটি জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব আছে আন্তর্জাতিকমানের। এই ল্যাবগুলো যদি আপনাদের (গবেষকদের) কোন কাজে দরকার হয়, যেকোনো সময় আপনারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।’
সেমিনারে জানানো হয়, দেশে মাইক্রোবায়োম নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করতে কাজ করছে দেশ-বিদেশের সরকারি-বেসরকারি তিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস, ইজিবায়োম ইনক. (যুক্তরাষ্ট্র) এবং বাংলাদেশের প্রথম মলিকিউলার ডায়গনষ্টিক ল্যাব ডিএনএ সল্যুশন লিমিটেড।
করোনাকালীন সময়ে এই তিন প্রতিষ্ঠান মিলে দেশে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে সার্স কোভ-২ ভাইরাসের ১৫১টি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ইউরোপ থেকে আসা। এবার দেশে মাইক্রোবায়োম নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চায় প্রতিষ্ঠানগুলো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনএ সল্যুশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাবেদ ইকবাল পাঠান এবং বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিনসহ দেশ বিদেশের গবেষক ও বিজ্ঞানীবৃন্দ।