শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চীনের জিনজিয়াংয়ের পণ্য নিষিদ্ধের আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » চীনের জিনজিয়াংয়ের পণ্য নিষিদ্ধের আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
৪৮৮ বার পঠিত
শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চীনের জিনজিয়াংয়ের পণ্য নিষিদ্ধের আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের

---

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়া বিলে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এই আইনে জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জোর করে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই আইনে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশান অ্যাক্ট নামের ওই আইনটি বছরখানেক ধরে আলাপ আলোচনার পর গত সপ্তাহে কংগ্রেসের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এই আইন অনুযায়ী চীনে জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে সব রকমের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে ক্রীতদাস হিসেবে আটক উইঘুরদের ব্যবহার করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘পরিষ্কার ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ দেওয়া না পর্যন্ত পণ্য আমদানী বন্ধ রাখবে ওয়াশিংটন। বেইজিং অবশ্য জিনজিয়াংয়ের শিবিরগুলোকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য ‘পুণরায় শিক্ষা প্রদানের’ স্থাপনা বলে দাবি করে থাকে।

এর আগে চলতি বছরের ৯ জুলাই চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমকে বন্দি রেখে নির্যাতন-গণহত্যা-ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের ১০টি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

উইঘুর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকে। ২০১৯ সালে ৮টি প্রযুক্তিভিত্তিক চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকায় ফেলেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

গত কয়েক বছর ধরে জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বন্দিশিবিরে রাখার পাশাপাশি তাদের গণহত্যা, বাধ্যতামূলক শ্রমদান এবং উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ট্রাম্প প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পম্পেও সর্বপ্রথম চীনের বিরুদ্ধে জিনজিয়াংয়ে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন- উইঘুর মুসলিমদের গণহারে হত্যা করছে চীন।

তার এই বক্তব্যের জেরে পম্পেও এবং বেশ কয়েকজন মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার; এবং তা এখনও বহাল আছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসমূহের অভিযোগ, চীনের ক্ষমতাসীন সরকার জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় দশ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ২০১৬ সাল থেকে একটি ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে।

তাদের ধর্মের অধিকার, সন্তান উৎপাদনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে কার্যত দাসের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে; যদিও এসব অভিযোগ কখনোই মানতে চায়নি চীন।



আর্কাইভ