মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নওগাঁ’য় কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সফলতা
নওগাঁ’য় কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সফলতা
জেলার বদলগাছি উপজেলায় অসময়ের তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন একজন কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনী ক্ষেতে বদলগাছি উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের শামসুল আলম বাচ্চু মোল্লা নামের ঐ কৃষক কারিশমা নামের হাইব্রিড জাতের তরমুজ চাষ করে এ সফলতা লাভ করেছেন। তরমুজ চাষে তাঁর এ সফলতা দেখে তরমুজ চাষে অগ্রহী হয়ে উঠেছেন পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক কৃষক।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলার বদলগাছি উপজেলার কোলা ইউনিয়নে ভোলার পালশা মৌজায় উক্ত কৃষক শামসুল আলম বাচ্চু মোল্লা ১০ কাঠা জমিতে কারিশমা জাতের এ তরমুজ চাষ করেছেন। এ তরমুজ চাষ করতে তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। তরমুজের চারা রোপণের দিন থেকে মোট ৮০ দিনের সময় সীমার মধ্যেই ক্ষেত থেকে তরমুজ উঠতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ৫শ কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে। আরও ৫শ কেজি তরমুজ ক্ষেতে রয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা হিসেবে এ ক্ষেতে থেকে মোট ৫০ হাজার টাকা আয় হবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন ঐ কৃষক। মাত্র ৮০ দিনেই খরচ বাদ দিয়ে ঐ ১০ কাঠা জমি থেকে তিনি নীট ৪৫ হাজার টাকা লাভ করবেন এ কৃষক।
এ তরমুজ সুস্বাদু এবং গুনগত মান ভালো হওয়ায় লাভজনক। তাই বাচ্চু মোল্লার এ তরমুজ চাষ দেখে এলাকার অনেকেই কারিশমা হাইব্রিড জাতের অসময়ের এ তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রয়োজনীয় বীজ এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ প্রদর্শনী ক্ষেত হিসেবে এ জমি নির্ধারণ করে বাচ্চু মোল্লাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বদলগাছি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হাসান আলী জানিয়েছেন অন্যরা এ তরমুজ চাষ করলে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তদারকী এবং পরামর্শ প্রদান করবে কৃষকদের।