সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » দ্রুত প্রত্যাবর্তন চায় বাংলাদেশ, জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে মোমেন
দ্রুত প্রত্যাবর্তন চায় বাংলাদেশ, জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে মোমেন
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করাই বাংলাদেশের প্রধান অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে জাতিসংঘের মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম এন্ড্রুসকে তিনি একথা জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ মানবিকতা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য উভয় দেশ ২০১৭ সালে প্রস্থানের পরপরই তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যেখানে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে। তবে দুঃখজনক হলো, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরতে পারেনি।
রাখাইনে আসিয়ান ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও বিশেষ দূতকে জানান মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক সম্প্রদায় উভয়ের জন্যই অস্থিতিশীল করে তুলছে। প্রত্যাবাসনে অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত করা রোহিঙ্গাদের আরও হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছে। তারা মাদক চোরাচালান, মানব পাচার, খুন ইত্যাদির মতো বেআইনি কার্যকলাপের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে।’
বেসরকারিভাবে পরিচালিত লার্নিং সেন্টার, মাদরাসা এমনকি রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো উগ্রবাদ প্রচার করছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রায় তিন হাজার শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে মিয়ানমারের ভাষায় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। কিছু অননুমোদিত বেসরকারিভাবে পরিচালিত লার্নিং সেন্টার, মাদ্রাসা এমনকি রোহিঙ্গাদের দ্বারা পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো উগ্রবাদ প্রচার করছে। তাই সরকার ওইসব অননুমোদিত কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছে।’
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো দ্রুততার সঙ্গে ভাসানচরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মইনুল কবির এবং জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সামিয়া আনজুম উপস্থিত ছিলেন।