শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » টিম ম্যানেজমেন্টের অপেশাদারিত্বে নাখোশ মাশরাফী
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » টিম ম্যানেজমেন্টের অপেশাদারিত্বে নাখোশ মাশরাফী
২০৩ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

টিম ম্যানেজমেন্টের অপেশাদারিত্বে নাখোশ মাশরাফী

---

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে নাজেহাল করে ছাড়ে বাংলাদেশ। অথচ অজিদের বিপক্ষে দলে ছিলেন না তামিম ইকবাল, লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিমের মতো দলের নিয়মিত সদস্যরা।

তাদের পরিবর্তে যারা সুযোগ পেয়েছিলেন তারাও নিজেদের প্রমাণ করেছেন দারুণভাবে। সেই সফলতার ফল হিসেবে নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে সুযোগও হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উইকেট রক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।

জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে গ্লভস হাতে দুর্দান্ত সোহান মন জয় করেছেন কোচ থেকে শুরু করে বিসিবি প্রেসিডেন্টেরও। তবে প্রতিযোগিতাটা মুশফিক আর লিটনের দলে ফেরায়। প্রশ্ন উঠেছে, সোহান কী তবে জায়গা হারাচ্ছেন?

সোমবার হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে জিজ্ঞেস করা হয় সোহানের একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে। ডমিঙ্গো সহজ সমাধান দেন, মুশফিক-সোহান দুজনেই খেলবেন। প্রথম দুই ম্যাচে সোহান, পরের দুই ম্যাচে মুশফিক। এই চার ম্যাচে যে ভালো করবে সেই থাকবে শেষ ম্যাচে উইকেট রক্ষকের দায়িত্বে।

আর এই ব্যাপারটাই চোখে লেগেছে টাইগারদের সাবেক নেতা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, দলের খবর ড্রেসিং রুম পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ।

“বিশ্ব ক্রিক্রেটের দুজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটার সেটা আবার নিজ দলের খেলোয়াড়কে আপনি যুদ্ধ করে বাঁচতে বলবেন সেটা ড্রেসিং রুম পর্যন্ত থাকাই ভালো। অবশ্যই দলের স্বার্থ সবার আগে, দলের আগে কোনও খেলোয়াড় হতে পারেনা। কিন্তু যে ক্রিকেটার গুলো দেশের হয়ে খেলতে নামে তারা কোনও সহানুভূতি নিয়ে নয় বরং তার শরীরের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দলে জায়গা পায়। আর মুশফিক সে গল্প আমরা সবাই জানি তার নিবেদন কি পর্যায়ে। বাংলাদেশের হাজার হাজার উঠতি ক্রিকেটারদের আইডল সে। সোহান সম্ভবত দলের সেরা কিপার সঙ্গে লিটন, এক সিরিজ গ্যাপে যোগ হলো মুশফিক। এক দলে এতো কিপার এ তো আনন্দের, তা না হয়ে বের হয় বিষাদ। এতটুকু সামাল দিতে না পারলে তো সমস্যা যা এক পর্যায়ে দলের ভিতর অদৃশ্য এক বাজে প্রতিযোগিতা চলে আসবে। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত তারা তাদের মতো করে নিবে এটাই তো স্বাভাবিক এবং অবশ্যই ভালোর জন্য নিবে। সফল হলে তালি না হলে গালি,যা সারা বিশ্বেই হচ্ছে। কে খেলবে,কোন পজিশনে খেলবে,কার রোল কি এগুলো তো দলের একান্ত পরিকল্পনা যা ড্রেসিং রুমে শুরু আবার ড্রেসিং রুমেই শেষ হয়।বাহিরে বলতে গেলে তো খেলোয়াড়ের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় যা তার স্বাভাবিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফেরা সোহানের জন্য মুশফিকের সঙ্গে পরীক্ষায় টিকে ওঠা কঠিন হয়ে যাবে বলছেন মাশরাফী।

“আমি শুধু ভাবছি এতে কি সোহানের জন্যও খুব ভালো হলো যে ছেলেটা দুই ম্যাচে সব দেখিয়ে টিকে থাকতে হবে, তাহলে বিগত দুই সিরিজ সে যা করল তার কি হবে। আর লিটন কি বলবে এখন, ও তো কিপিং ভুলেই যাবে। আর মুশফিক কে পারফর্ম করতে হবে ১৬ বছর খেলার পর এটা বলে দেয়ার কিছু নাই, সে খুব ভালো করেই জানে বরং বাহিরে এভাবে বললে তার নিবেদনকে অসম্মানিত করা হয় যা তার প্রাপ্য না। সে সেরা ব্যাটসম্যান বলেই ১৬ বছর দেশকে সার্ভিস দিয়েছে। আবার দলের প্রয়োজনে তাকেই কিপিং করতে হতে পারে। তখন যদি সে না বলে সেটা কি ভালো শোনাবে। দলে প্রতিযোগিতা সব সময় দলের সেরাটা বের করে আনে তবে সেটা সুস্থ হতে হবে। কাউকে আঘাত করে নয়।”

উদাহরণ টেনে মাশরাফী আরও লেখেন, “১৬টা বছর যে মানুষটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দিচ্ছে তাকে নিয়ে মন্তব্য করার আগে আপনি যত বড় ক্ষমতাধর মানুষ হন না কেন একটু জায়গা বুঝে বলা উচিত। মুশফিক কি ভাবে জাতীয় দলে এসেছে তা সবাই জানে সিম্পলি তার ব্যাটিং দক্ষতা,একটা সময় পর্যন্ত বিশ্ব ক্রিকেটে শুধু কিপার হিসাবেই খেলা যেত তার উদাহরণ ভরি ভরি কিন্তু গিলক্রিস্ট আসার পর সব হিসাব পাল্টে যায়, যার সূত্র ধরে ইন্ডিয়া টিমে দেখেছি রাহুল দ্রাবিড়কেও কিপিং করতে হত যাতে দল সুবিধা মতো এক্সট্রা একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলাতে পারে। অবশ্যই সেটা লিমিটেড ক্রিকেটে।”



আর্কাইভ