শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন
১৪৮ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

---

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন নিউইর্য়কে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর শুভক্ষণে স্থায়ী মিশন আয়োজিত এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দ’ুটি পর্বে ভাগ করে উদযাপন করা হয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শুরু হয। এর পর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতপর সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পাঠকৃত শপথ বাক্য অনুসরণ করে স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্ব মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি শপথ বাক্য পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় স্থানীয় সময় সন্ধ্যে ছয়টায়। কভিড-১৯ এর নতুন ধরন ‘ওমিক্রণ’ এর প্রেক্ষিতে দূতাবাস ভবনস্থ বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়ালি আলোচনা পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুণ বাংলাদেশী-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শুরুর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শাহাদৎ বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ স্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটোগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছি যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতার স্বাক্ষর।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ এখন র্শীষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরির্বতন, আভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, শান্তি-বির্নিমাণ, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অসংখ্য বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশ নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম অর্থনীতির দেশ। আশা করা যায়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও অব্যাহত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের কাছে আজ রোল মডেল বাংলাদেশ।
প্রবাসী বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অগ্রণী ভূমিকা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকানগণ এখানকার মূল ধারার রাজনীতিতে নেতৃত্বশীল ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। প্রবাসীদের উদ্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটসহ বাঙালি জাতির চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার সূদীর্ঘ সংগ্রামের নানা দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতির পিতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশের ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ। তারা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পসমূহের বাস্তবায়নে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উন্মুক্ত আলোচনা শুরুর পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতর্বাষিকী এবং বিজয়ের সুর্বণ জয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণকে উপলক্ষ্য করে নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীকে জাতির পিতার আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত করার মহতী প্রয়াসের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানটির রেকর্ডকৃত অংশ অংশগ্রহণকারী সকলের উদ্দেশে পরিবেশন করা হয়।



আর্কাইভ