শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সংক্রমণ, প্রাণহানি আরও সাড়ে ৬ হাজার
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সংক্রমণ, প্রাণহানি আরও সাড়ে ৬ হাজার
১৫৬ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সংক্রমণ, প্রাণহানি আরও সাড়ে ৬ হাজার

---

চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, পোল্যান্ড, ইউক্রেন ও মেক্সিকো। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ কোটি ৩১ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৩ লাখ ৫২ হাজার।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৪৩৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ১৬১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৭ হাজার ১৯৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ১৫৬ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৯০ জন এবং মারা গেছেন ৯৭৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৭ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৩৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪৮৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৪ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ১৮৮ জন।

এছাড়া জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৫৭ জন এবং মারা গেছেন ৪৭৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৯ হাজার ২১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৮ হাজার ১৫৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫৯০ জন এবং মারা গেছেন ৩৫৫ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৭২০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৪ হাজার ৯৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৫২১ জনের।

এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ১৭৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৮ জন।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ৬৩ জন, তুরস্কে ১৬৭ জন, পোল্যান্ডে ৫৯২ জন, হাঙ্গেরিতে ১৪৪ জন, স্লোভাকিয়ায় ১০৯ জন এবং ভিয়েতনামে ২৪১ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ২০৪ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৭ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।



আর্কাইভ