শুক্রবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » নাফ নদী থেকে ৬ কোটি টাকার অস্ত্র-মাদক উদ্ধার, আটক ২
নাফ নদী থেকে ৬ কোটি টাকার অস্ত্র-মাদক উদ্ধার, আটক ২
কক্সবাজারের টেকনাফে দমদমিয়া সংলগ্ন নাফনদী থেকে ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা, বিদেশি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ওই এলাকা থেকে অস্ত্র, মাদক ও অন্যান্য মালামালসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত হলেন- হ্নীলা ইউপি মোচনী এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ (৪০) ও মিয়ানমার মংডু থানার শিয়া কনদং এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে বদি আলম (৩০)।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় ২ বিজিবি উপ-পরিচালক লেফটেন্যান্ট মো. মুহতাসিম বিল্লাহ (শাকিল) উপস্থিত ছিলেন।
শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান দমদমিয়া এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফনদী দিয়ে পাচার হবে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপি দুইটি বিশেষ টহল দল নাফ নদীতে কৌশলে অবস্থান নেয়। বিআরএম-৯ থেকে আনুমানিক ৯০০ গজ উত্তর-পূর্বে নাফ নদীর উপর দিয়ে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আনুমানিক ৫০০ থেকে ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি হস্তচালিত কাঠের নৌকাকে বাংলাদেশে আসতে দেখে। নৌকাটি জালিয়ার দ্বীপের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে বিজিবির টহল দল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে। নৌকার আরোহীরা বিজিবির চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা ঘুরিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে, বিজিবি টহল দল সন্দেহভাজন নৌকাটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে নৌকাটিকে থামানোর চেষ্টা করে। পরে বিজিবির টহল দল স্প্রিড বোট নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে ঘেরাও করে। এ সময় নৌকা থেকে ২ জনকে আটক করে বিজিবি।
আটককৃত দুইজনের মধ্যে একজন তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি মানব পাচারকারী এবং অপরজন মিয়ানমার নাগরিক। পরে নৌকাটি তল্লাশি করে একটি কম্বলের ভিতরে লুকায়িত অবস্থায় ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১ কেজি ৩৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত অস্ত্র, ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ও অন্যান্য মালামালসহ আটকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।