বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন
বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের লাখো শহিদের প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার ভাষ্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া স্থানীয় আওয়মী লীগের নেতা-কর্মীগণ এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের পর দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। বাণী পাঠের পর হাইকমিশনারের পরিচালনায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর মহান অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে হাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের কালরাতে শাহাদত বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দানকারী ত্রিশ লাখ শহিদ, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোন আর অসংখ্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি শোষণ নির্যাতন থেকে মুক্ত করার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র পথ ছিল, রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তনের ক্রমাগত ব্যর্থতার বিপরীতে গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের বিশ্বস্বীকৃত অব্যাহত সাফল্যই তার প্রমাণ। এলডিসি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ, বাংলাদেশি টাকার মান পাকিস্তানি রুপির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হওয়া, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, উন্নয়নের সব সূচকে আমাদের এগিয়ে থাকা প্রমাণ করে যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করা ছিল একটি সময়োপযোগী ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। তিনি আরও বলেন যে, একদার কথিত তলাবিহীন ঝুঁড়ি আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। পশ্চিমা বিশ্বই এখন বলছে যে, ২০৩২ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তিনি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আত্মনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।
আলোচনা পর্ব শেষে তিনি উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবসের কেক কাটেন এবং সবাইকে নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।