রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেব্রুয়ারিতে যুক্ত হচ্ছে ২৫০০ নতুন ট্রলি - পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফেব্রুয়ারিতে যুক্ত হচ্ছে ২৫০০ নতুন ট্রলি - পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
যাত্রীদের বিদেশযাত্রা ও আগমনকে আরো আরামদায়ক করতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন করে ২৫০০ ট্রলি যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী।
আজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমনী টার্মিনালে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। এর আগে তিনি বিমানবন্দরের দুই টার্মিনাল ঘুরে ব্যবস্থাপনাগুলো দেখেন ও যাত্রীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত এক-দুই দিন ট্রলি সংকটের জন্য অনেক যাত্রী কিছুটা ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এই ব্যাপারে আমরা ইতোমধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আপনাদের অবগত করতে চাই যে, বিমানবন্দরে মোট ২০০০ ট্রলি আছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ ট্রলি অচল হয়ে যায়। কোভিড-১৯ এর কারণে অচল ট্রলিগুলো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা প্রতিদিন ট্রলি মেরামত করছি। বর্তমানে সচল ট্রলির সংখ্যা মোট ১৪০০। ৪-৫ দিনের মধ্যে আরো ৫০০ ট্রলি সচল হবে।
তিনি আরো বলেন, গত ৩ দিনে বিমানবন্দরে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী আসা যাওয়া করেছে যা কোভিড-১৯ পূর্ব সময়ের থেকেও বেশি। এছাড়াও আপনারা জানেন প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী যাত্রী করোনা টেস্টের জন্য বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় যাচ্ছেন। সেখানে ৩-৪ ঘণ্টা করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়ে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করেন। তারা ট্রলিগুলো সাথে নিয়ে যাওয়ায় টার্মিনাল ভবনগুলোতে ট্রলি সংকট দেখা যায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের ট্রলির সংকট সমাধানে আমরা ৩২ জন কর্মীকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা ইউনিফর্মে থাকবে। তারা যাত্রীদের প্রয়োজনে তাদের কাছে ট্রলি পৌঁছে দেবে। শিগগিরই এই কাজের জন্য আরও ৫০ জন নিয়োগ দেয়া হবে। এসময় বিমানবন্দর কর্মীদের হুশিয়ারি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রলি নিয়ে যদি সংকট তৈরি করা হয়, যদি সংকটের পেছনে কারও গাফিলতি পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।
এদিকে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘসময় লেগে যাওয়া এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার অভিযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিষয়ে কথা বলেছি। আমি বলেছি যাতে কোনো কাউন্টার ফাঁকা না থাকে। ২৪ ঘণ্টা যাতে কাউন্টার সচল থাকে। যাত্রীরা যাতে অল্প সময়ে ইমিগ্রেশন করে গন্তব্যে যেতে পারেন। মন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরবর্তী সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যগামী যাত্রীদের ৮ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পিসিআর টেস্টের জন্য ৬ ঘণ্টা সময় লাগলেও পিসিআর টেস্ট পূর্ব অন্যান্য কিছু দাপ্তরিক কার্যক্রমের জন্য যাত্রীদের আরো এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। অনেক যাত্রী কম সময় হাতে নিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত ফ্লাইট মিস করাসহ তা নানা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি যাত্রীদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিমানবন্দরে আসার অনুরোধ করছি।
মিডিয়া ব্রিফকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালন) এয়ার কমোডর সাদেকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান, সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান।