বিএনপি নেতা আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয় - কৃষিমন্ত্রী

বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ রায় আবারও প্রমাণ করেছে সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ যাই করুক, অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আওয়ামীলীগ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ও চেতনা মেনে চলতে হবে। রাজনীতি করতে এসে অপকর্মে জড়িত হওয়া যাবে না। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এ রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরার আমুলিয়া ব্রিটিশ স্কুল প্রাঙ্গণে ৭০নং ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজনীতি ও দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম পরিপন্থী, অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অসভ্যতার চরম উদাহরণ।

কোন সভ্য সমাজের সভ্য রাজনৈতিক কর্মী এ ধরনের কথা বলতে পারে না। আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়। মুখ ও জিহ্বা সামলে শালীনতা বজায় রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মুখ সামলান, জিহ্বা সামলান। যদি না সামলান, তাহলে এদেশের মানুষ জানে কীভাবে আপনাদেরকে সামলাতে হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ধরনের অশালীন বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যেখানে আওয়ামীলীগ অশালীন বক্তব্যকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, বরং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের সঞ্চালনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।