বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক, জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ ব্যাপারে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার লক্ষ্যে প্রস্তুত করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
গণভবন থেকে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়ে এবং দেশের সর্বোত্তম চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়ে তাঁরা সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দোষী সাব্যস্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার পাশাপাশি কেবল প্রতিহিংসার বশবর্তী ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার দিনে জন্মদিন না হওয়া সত্বেও কেবল কষ্ট দেওয়ার জন্য জন্মদিন পালনের মত অমানবিক অপরাধের অভিযোগও রয়েছে।
তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করেন, ‘তারা আমাদের কাছে কী আশা করছে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে এবং দেশের সেরা হাসপাতালে অবাধে চিকিৎসা নিতে দিয়েছি। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? আমরা এটা (উদারতা) দেখিয়েছি।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক যুব নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তৃতা করেন।
সাবেক যুবলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি এবং হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল সভাটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ডিবিসি নিউজ এর প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল ইসলাম, দৈনিক সমকাল পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি এবং বিশিষ্ট বাউল শিল্পী শফি মন্ডল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যুবসমাজ সবসময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। সেজন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারটা যুবসমাজকে উৎসর্গ করেই তৈরী হয়েছে- ‘তারুণ্যের উন্নতি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য তারুণ্যের শক্তিটাকেই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি এবং তরুণ সমাজকে আমরা তৈরী করতে চেয়েছি ভবিষ্যত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। শিক্ষায়-দীক্ষায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে এই তরুণ সমাজই আগামী দিনে এগিয়ে যেতে পারে।
তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যানের বক্তব্যের রেশ ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রগতিশীল ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের মত বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে যদি যুবলীগ গড়ে উঠতে পারে তাহলে এদেশের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল। আর আমরা যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি করেছি, সে মতেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের পথে যাবার পরিকল্পনা রূপকল্প ২০৪১ তাঁর সরকার করে দিয়েছে। সেটা ধরে এগিয়ে গেলে পরে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছাবে এবং প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে- সেটাই আমরা চাই।
জিয়ার পদাংক অনুসরণ করে জাতির পিতার খুনীদের পুরস্কৃত করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে খালেদা জিয়ার উদ্যোগ এবং তার রূঢ় ও অমানবিক আচরণের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করি তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, সহযোগিতা চায় খালেদা জিয়া কি আচরণ করেছে?
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার আগে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল- ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা, কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবেনা এবং আওয়ামী লীগ ১শ’ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবেনা।’ আল্লাহর কুদরত বোঝা ভার, যে কারণে খালেদা জিয়া আর প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরই ফলে গেছে, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরেও সে যখন অসুস্থ, আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্তে সে এবং তার ছেলে দুর্ণীতিগ্রস্থ হিসেবে চিহ্নিত, গ্যাটকো’ এবং নাইকো’র মামলা তার বিরুদ্ধে এবং এতিমের টাকা আত্মসাতের মত দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং সে কারাগারে ছিল।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বড় বোন, বোনের স্বামী এবং ভাই তাঁর কাছে এসেছিল। তারা আসায় তিনি তখন তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে যতটুকু করতে পারেন সে অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং চিকিৎসার অনুমতি প্রদান করেন। সে সময় শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশে সবথেকে দামী যে হাসপাতাল, সব থেকে ব্যয়বহুল সেখানেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। আর তারেকের স্ত্রীওতো ডাক্তার, শুনেছি সে নাকি অনলাইনে শাশুড়িকে দেখে।
তারপরেও ১৫ আগস্ট সে জন্মদিন পালন করে অথচ জিয়ার সঙ্গে তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিংবা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হবার পর পাসপোর্টেও যে জন্ম তারিখ বা খালেদা জিয়ার মা’য়ের বিবৃতি অনুযায়ীও জন্মতারিখটা ১৫ আগস্ট নয়। তার ৪/৫টা জন্ম তারিখ রয়েছে এবং জন্মসাল নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে, বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন,‘ ১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন করার অর্থটা কি সেদিন আমরা যারা বাবা, মা-ভাইসহ আপনজন হারিয়েছি তাদেরকে কষ্ট দেওয়া। তাহলে আমার কাছে আর কত আশা করে তারা কিভাবে আশা করে, সেটাই আমার প্রশ্ন’
’৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দেড় মাসের মধ্যে ৩০ মার্চ গণঅন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১২ জুন নির্বাচনের সময়ও একটি ক্যু’র ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকার ঠেকিয়ে দেয় বলেও উল্লেখ করেন।
২০০১ সালে গ্যাস বিক্রীর মুচলেখা দিয়েই এই খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তারা ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘুদের ওপর অকথ্য নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা- গুম, নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার এবং জেল-জুলুম এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং বাংলা ভাই সৃষ্টির প্রসংগও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান অসুস্থ জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানকে সিএমএইচ-এ চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি বিএনপি সরকার। তাকে আইসিইউ থেকে ষ্ট্রেচারে কোর্টে নিয়ে একটি মামলার জন্য হাজির করা হয়। এমনকি তাঁর প্রমোশন ও বাতিল করে দেয়। সেনাবাহিনীর নারী সৈনিক হিসেবে প্রথম ব্যাচে এই জেনারেল মোস্তাফিজের ছোট মেয়ে প্রমোশন লাভ করে। কিন্তু নিয়ম থাকলেও তাঁর মা-বাবাকে এই খালেদা জিয়া সরকার পাসিং আউট প্যারেডে উপস্থিত থাকতে দেয়নি। এই হচ্ছে খালেদা জিয়া। আর এরশাদকে কারাগারে বন্দি রেখেছে কোনদিন চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। রওশন এরশাদকেও দেয়নি। তিনি বলেন, জিয়া নিজেও সাজেদা চৌধুরীকে অপারেশনে অসুস্থ ব্যান্ডেজ নিয়ে কারাাগারে পাঠায়, মতিয়া চৌধুরীর টিবি হলেও তাঁকে কারাগার রেহাই দেয়নি।
বাহাউদ্দিন নাছিম থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং শেখ সেলিম সহ বহু নেতা কর্মীকে বিএনপি’র অত্যাচার নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নাছিমকে এমন অত্যাচার করেছিল তাকে মৃত মনে করে তারাতারি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।’
‘দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের ভিডিও দেখে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান উৎফুল্ল হয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই ধরণের হিং¯্র একটা চরিত্র আমরা দেখেছি (খালেদা জিয়ার মাঝে)।’
খালেদা জিয়া ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েও একজন মা’ হিসেবে তাকে সহানুভ’তি জানাতে গেলে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়ার স্মৃতিও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমার গাড়িটা বাড়ির সামনে থেমেছে, এসএসএফ’র অফিসার জাস্ট ভেতর থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে আমাকে নিতে সাথে সাথে দরজাটা বন্ধ করে তালা দিয়ে দিয়েছে।’
তিনি গাড়ি থেকে নেমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আর ঢুকতে পারেননি, সন্তনহারা মা’কে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এভাবে অপমান হতে হয়েছে, বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি’র দাবি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘আমার যতটুকু করার ছিল করেছি। তাকে যে বাসায় থাকতে দিয়েছি ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি যথেষ্ট নয়, এটাই কি অনেক বড় উদারতা আমরা দেখাইনি।’
অনুষ্ঠানে মানুষের সেবার মধ্য দিয়ে নিজেদের দেশসেবায় নিয়োজিত করতে তরুণদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নিজের ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে হবে আবার আগামী প্রজন্মগুলোও যেন সুন্দরভাবে গড়ে উঠে সেইভাবেই আগামী প্রজন্মকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে।
করোনা মহামারীর মধ্যে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মানুষকে খাদ্য সাহায্য দিয়েছে, চিকিৎসা সাহায্য দিয়েছে, তাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ সহ সব ধরনের কাজ করেছে। এমনকি তারা মুজিবর্ষের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী এবং তাঁর নির্দেশে ছাত্রলীগের পাশাপাশি মাঠে নেমে গিয়ে ধান কেটে কৃষকের গোলায় তুলে দিয়ে কৃষককে সহায়তা করেছে।
যাদের ভূমি নেই, গৃহ নেই তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুচ্ছগ্রাম করে ঘর-বাড়ি দেওয়া শুরু করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়েছি। ১৯৯৬ সাল থেকে এই পর্যন্ত আমরা প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে ঘর করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, সরকার সার্ভে করে দেখেছে এখন হয়তো আরো ৪/৫ লাখ মানুষ বাকি আছে তাদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ঘর করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুবলীগ যেই পদক্ষেপ নিয়েছে আশ্রয় দিচ্ছে আশ্রয়হীন মানুষকে, গৃহহীন মানুষকে এবং তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ প্রায় ৬১টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবেই মানুষের সেবা করা দরকার।