সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » আমার বিরুদ্ধে মোটা মোটা অভিযোগ দেয়া হলেও আমি তা করিনি : আইভী
আমার বিরুদ্ধে মোটা মোটা অভিযোগ দেয়া হলেও আমি তা করিনি : আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো এই কথাই আমি বার বার বলেছি। আমি এও বলেছি আমাকে নৌকা না দিলে আমি কখনো নৌকার বিপক্ষে থাকবোনা। কারো নির্দেশিত না হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানুন।
তিনি বলেছেন, প্রচুর মেগাপ্রজেক্ট চলছে। এত বিরোধীতা আমার বিরুদ্ধে কেন। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হলো। মডেল মসজিদ ওয়াকফার যায়গা মামলা করে বন্ধ করে দিল কাজ, সেটাও আমি উদ্বোধন করেছি বলে। নানা যায়গায় আমার বিরুদ্ধে এত মোটা মোটা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি জীবনে কোনদিন কোন নেতার বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করিনি এমনকি নেত্রীর কাছেও না। একটা শন্দও উচ্চারণ করিনি এটা আমার নীতিতে নেই।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাকে সমর্থন জানিয়ে তার হাতে নৌকা তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৭ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে প্রতিদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন আমি বাংলাদেশে আসলাম তখন আমি আপনাদের সাথে নিয়ে শুরু করেছিলাম। এসময় অনেকে দেশে নানা কারণে ছিলেন না তবে আমি শুরু করেছিলাম আমাদের মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার কাকা পাশে ছিলেন। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম ৪ দলীয় ঐক্যজোটের আমলে।
আইভী বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে আমি ছিলাম। আমাকে তখন কেউ পায়নি এমন আমার মনে নেই। যখন ডাকতেন তখনি আসতাম, অন্যদেরকেও ডেকে পেতাম। সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচীতে ছিলাম আগামীতেও থাকবো। পার্টি অফিসে বসে হয়তো সময় দিতে পারিনি সত্য কারণ আমাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়, ৭ টা ৮টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
‘২০০৯ এর পরবর্তীতে ১/১১ তে এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর এই পার্টি অফিসেই প্রথম আনোয়ার কাকা, আমি চলে এসেছি এবং মিছিল করেছি। পরে আমার পৌরসভার সামনে মিছিল হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, আমি দলের বিপক্ষে গিয়ে অথবা দলের কোণ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কখনো কোথাও কথা বলিনি। আমি ১৯৮৪ সালে নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম। আমার বাবা মারা যাবার পর আমি আনোয়ার কাকাকে নেতা মেনেছি। আমার দুর্ভাগ্য আমি অনেকের মন জয় করতে পারিনি কারণ আমি অনেক সরাসরি কথা বলি, কোন রাগঢাক রাখিনা। আমি মেয়রের চেয়ার বসে ১০ জনের সমান বিচার করি, অন্যায় হলে সরাসরি বলে দেই।
তিনি বলেন, আমি দলের পরীক্ষিত কর্মী কারণ দুঃসময়ে বুঝা যায় কে দলে থাকে কে থাকেনা। সুসময়ে মানুষের অভাব নেই। এখন তো অন্য দল বলতে কিছু নেই। এমন কোন যায়গা নেই যে আওয়ামীলীগের লোকজন নেই। এই দুঃসময়ে আনোয়ার কাকাসহ এখন যারা তার সাথে আছেন তারাই ছিলেন।সুসময়ে যারা থাকে তারা আবার দুঃসময়ে থাকেন না।
এসময় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তার হাতে নৌকা তুলে দেন। এতে মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।