শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ধানের ফলনে খুশি কৃষক
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ধানের ফলনে খুশি কৃষক
৫০১ বার পঠিত
সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ধানের ফলনে খুশি কৃষক

---

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচে বড় চালের আড়ত ভৈরব নদীর তীরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ। নতুন আমন ধানে সয়লাব পুরো মোকাম। মৌসুমের শুরুতে ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষকেরা। তবে ধানের দর অনুপাতে চালের কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে হতাশ মিল মালিকরা।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোপা আমন ধানে ভরপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধান চালের মোকাম। বর্তমানে প্রতিমণ কাঁচা আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকায়। আর শুকনা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯২০ টাকা দরে। অবশ্য বিআর-২৮ পুরাতন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা পর্যন্ত। মৌসুমের নতুন ধানে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।

কৃষকেরা বলছেন, যেভাবে দাম যাচ্ছে তাতে করে তারা লাভবান হচ্ছেন।

তবে, ধানের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে চালের মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবি তাদের। এ জন্য বাজারের সিন্ডিকেটসহ ভারত থেকে চাল আমদানিকে দায়ী করছেন তারা।

এ ব্যাপারে মিল মালিকরা বলেন, ধানের বাজার ভালো হলেও চালের বাজারে মন্দা। প্রতিটি বস্তায় মিল মালিকদের ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে বলে জানায় জেলার কৃষি বিভাগ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রবিউল হক সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত ১৪ টন ধান সংগ্রহ করেছি। চাল সংগ্রহ করেছি ৩৯৪ টন। আমাদের চাল সংগ্রহ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এ বছর ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ২ হাজার ৭০৩ মেট্রিক টন ধান কিনবে জেলা খাদ্য বিভাগ। আর ৪০ টাকা দরে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব বলেন, ‘আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করতে পারব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ৫১ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমি থেকে ২ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে, যা থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে।



আর্কাইভ