সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সু চির চার বছরের কারাদণ্ড
সু চির চার বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তার প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে আনা সব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চিকে ভিন্নমত উসকে দেওয়ার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনের অধীনে কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ রয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
মিয়ানমারে গত ফেব্রুয়ারি থেকে গৃহবন্দী আছেন সু চি। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় তার নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেওয়া হয় এবং নেতাদের আটক করা হয়।
এবার তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। তবে সু চিকে কবে কারাগারে রাখা হবে তা স্পষ্ট নয়।
এদিন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের মিত্র উইন মিন্টকেও একই অভিযোগে চার বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশটির দুই নেতার এ শাস্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ক্যাম্পেইনের ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক মিং ইউ হাহ।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বানোয়াট অভিযোগে অং সান সু চিকে কঠোর সাজা দেওয়া হয়েছে। ফলে মিয়ানমারের সব বিরোধিতা রয়ে গেল এবং স্বাধীনতার শ্বাসরোধ করা হলো।
আদালতে উপস্থিতি ছাড়া সু চির বক্তব্য খুব কমই শোনা যায়। ৭৬ বছর বয়সী নেতার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতি এবং সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য সহায়তা সংস্থার মতে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে সু চিসহ অন্তত ১০ হাজার ৬০০ জনকে আটক করে সামরিক জান্তা। এ ঘটনায় বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৩০৩ জন নিহত হয়েছেন।
যদিও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দাবি, অভ্যুত্থানের পর মারা যাওয়া বিদ্রোহীদের সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া সহিংসতায় মারা গেছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রয়েছে।