শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
৪১৫ বার পঠিত
রবিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

---

বর্তমান কৃষি-বান্ধব সরকারের আমলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, লবণাক্ত, হাওর ও পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, শোকেসিং, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), মৃত্তিকা বিজ্ঞান সমিতি এবং প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপকূলের লবণাক্ত, হাওর, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ প্রতিকূল পরিবেশে ও জমিতে ফসল উৎপাদনে সরকার এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এখন সকল মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু ক্রমহ্রাসমান চাষযোগ্য জমি, বিপরীতে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠী ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই বা ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘লবণাক্ততা রোধ করি, মাটির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করি’। এ নিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে লবণাক্ততা একটি বড় সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে লবণাক্ত জমির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা স্থিতিশীল ও টেকসই রাখতে হলে উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য জাত এবং উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ছড়িয়ে দিতে হবে।
পরে কৃষিমন্ত্রী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সয়েল অ্যাটলাস অব বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ও মৃত্তিকার উপর শোকেসিং ঘুরে দেখেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ২৫ এলাকা হচ্ছে উপকূলীয়, ১৮ টি জেলার ৯৩টিরও বেশী উপজেলার ১০ লক্ষ হেক্টরেরও বেশী জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত যা এই এলাকার ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।
পরে বিকালে কারিগরি সেশনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২১, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।



আর্কাইভ