শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | মাদারীপুর | রাজনীতি | শিরোনাম » খালেদা জিয়ার মুক্তি আর চিকিৎসা এখন রাজনৈতিক স্টান্টবাজি: শাজাহান খান
খালেদা জিয়ার মুক্তি আর চিকিৎসা এখন রাজনৈতিক স্টান্টবাজি: শাজাহান খান
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আর বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করানো এখন বিএনপির রাজনৈতিক স্টান্টবাজি হয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেবে সরকার।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে মাদারীপুর সদর উপজেলার দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের সমাদ্দার এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদন করেছে বিএনপি, সেই আবেদন আদালত যদি বিবেচনা করেন তাহলে তিনি মুক্তি পাবেন। লন্ডন ছাড়া চিকিৎসা হবে না, এটা ঠিক নয়। বিদেশে থেকে ডাক্তার এনেও চিকিৎসা করা সম্ভব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা বিদেশ থেকে ডাক্তার এনেও করানো হয়েছিল। বিদেশের ডাক্তার এনে যদি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান, সেই সুযোগ সরকার দেবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান আরও বলেন, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন কিনা সেটা আইনগত ব্যাপার। সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে তখন অনেক কিছুরই দায়ভার সরকারকে নিতে হয়। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামির চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার অনেক নমনীয়।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শাজাহান খান বলেন, ১৩ বছর ধরে বিএনপি হুমকি দিয়ে আসছে। সরকার পতনের চেষ্টা করছে, সব চেষ্টাই ব্যর্থ। সৃষ্টিকর্তা সঙ্গে থাকলে কাউকেই টেনেহিঁচড়ে নামানো যায় না। আওয়ামী লীগের শিকড় খুবই টেকসই, চাইলেই ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব নয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাবলু আখতার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, খলিল বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খানসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।