বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » রাজধানীতে ৭১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৩
রাজধানীতে ৭১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৩
রাজধানীর পল্লবী থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (দক্ষিণ)। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন মনি ইসলাম (২৯), জান্নাতুল ফেরদাউস রুপা (১৯) ও মো. শাহাদাত হোসেন (৩২)।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গেন্ডারিয়া অবস্থিত ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ে ( দক্ষিণ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (দক্ষিণ) উপপরিচালক পারভীন আখতার।
পারভীন আখতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবীতে একটি সাদা রঙয়ের প্রাইভেট কারে থাকা তিন মাদক কারবারি মনি ইসলাম (২৯), জান্নাতুল ফেরদাউস রুপা (১৯) ও মো. শাহাদাত হোসেনকে (৩২) আটক করে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (দক্ষিণ) একটি টিম।
তাদেরকে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পল্লবী ১১ নম্বর সেকশনের নাভানা টাওয়ারের বেজমেন্টে তাদের আরও একটি প্রাইভেটকার আছে যেটাতে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে। পরে নাভানা টাওয়ারে থাকা সেই গাড়ি তল্লাশি করে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়। এই সঙ্গে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ইয়াবার চালানটি আটকরা টেকনাফ থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এগুলো রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই চক্রের প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে সুজন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ৪টি মামলা রয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে তার স্ত্রী মনি ইসলাম মাদকের রমরমা কারবার চালাচ্ছিলেন। তাকে সহযোগিতা করছিলেন আটক অন্য দুজন। মনির বিরুদ্ধে এর আগেও শাহআলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে গত ২৬ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।
পারভীন আখতার বলেন, তারা প্রাইভেটকারে করে সরাসরি কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন। এ চক্রের সঙ্গে আরও কোনো মাদককারবারি জড়িত কিনা তা অনুসন্ধানে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৩১ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে ২০১৯ সালের শাহআলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মনির স্বামীর কারাগারে রয়েছেন।
আটকদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।