বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ে শুরু
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ে শুরু
শুরু হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২১-এর জাতীয় পর্যায়ে খেলা।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে কমলাপুরস্হ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসন্তী চাকমা এমপি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্হায়ী কমিটির সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী এমপি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। যার ফলে ক্রিকেট-ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। যে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের নাম ছিল না সেই দেশ এখন ক্রিকেট পরাশক্তিদের অনায়াসে পরাজিত করছে।
তিনি আরও বলেন, এই টুর্নামেন্টসমূহ গ্রাম-গঞ্জের সর্বত্রই একটা ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি করেছে। খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা বিপদগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে। এজন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রসংশার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ফুটবলারদেরকে দেশের ভেতরে এবং বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। বিগত টুর্নামেন্ট হতে ৪ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে ব্রাজিলের গামা ক্লাবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৪২ জন ফুটবলারকে বিকেএসপিতে ৩ মাসব্যাপী উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এবছরও বালক-বালিকা হতে বাছাই করা সেরা প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারদের ব্রাজিল এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই ধাপে ৮০ জন খেলোয়াড়কে বিকেএসপিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, যুবরাই হলো দেশের প্রাণশক্তি। যুবদের বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ থেকে দূরে রাখতে এবং সুস্থ্য ক্রীড়াচর্চা প্রসারে এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে আট বিভাগের বালক এবং বালিকা
দল। উদ্বেধনী ম্যাচে মাঠে নামে বালকদের ঢাকা বিভাগ এবং বরিশাল বিভাগ। উদ্বোধনী ম্যাচে টাইব্রেকারে ঢাকা বিভাগ বরিশালকে পরাজিত করেছে।
২৯ মার্চ টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ২০২১ সালের খেলা। উপজেলা পর্যায়ে বালক বিভাগে অংশ নেয় সারা দেশের ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন এবং ২৫৭টি পৌরসভাসহ ৪ হাজার ৮২৮টি দলের মোট ৮৬ হাজার ৯০৪ জন খেলোয়াড়। উপজেলায় বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেয় ৪৯২টি উপজেলা, ২৯টি সিটি
করপোরেশন এবং ৬০টি পৌরসভাসহ মোট ৫৮১টি দল। জেলা পর্যায় থেকে অংশ নেয়
বালিকারাও। বালক এবং বালিকাদের মোট ১ হাজার ১৬২টি দলের ২০ হাজার ৯১৬ জন খেলোয়াড় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। জেলায় অংশ নেওয়া প্রতিটি দল থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে আয়োজন করা হয় বিভাগীয় প্রতিযোগিতা যেখানে অংশ নেয় ৬৪টি জেলা এবং ৪টি পৌরসভাসহ ৬৮ দলের ২৪৪৮ জন বালক এবং বালিকা।
টুর্নামেন্টের শেষ ধাপ হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশ
নিচ্ছে ৮টি বিভাগীয় বালক এবং বালিকা দলের ২৮৮ জন খেলোয়াড়। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থেকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকা ফুটবলার। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে বিকেএসপিতে ৩ মাসের নিবিড় আবাসিক ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ক্যাম্প থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগও রয়েছে এই আয়োজনে।
২০১৮ সালের প্রথম আয়োজন শেষে ব্রাজিলে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছিল ৪ জন খেলোয়াড়। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ে অংশ নেওয়া প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা বর্তমানে বয়সভিত্তিক জাতীয় দল, প্রিমিয়ার লিগ,
প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এমনকি জেলা দলের প্রতিনিধিত্ব করছে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) মো. মোশারফ হোসেন মোল্লা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালককে এম আলী রেজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।