মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ
পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় বাংলাদেশ
পুরো বিশ্ব একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশ-বিদেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি দেখতে চায় বাংলাদেশ। শান্তি থাকলে মানবজাতির উন্নয়ন হবে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের আয়োজনে রাজধানীর মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে টি-১০ প্রীতি ম্যাচ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘ঢাকায় আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা বিশ্বে শান্তি দেখতে চাই। আমরা ঢাকায় শান্তি সম্মেলনের মাধ্যমে পৃথিবীকে বোঝাতে চাই, শান্তি হলো আমাদের আগামী দিনের পাথেয়। শান্তি হলে সারা বিশ্বে উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশ এমন একটা পর্যায়ে আছে, আমরা সব দেশের প্রতি নির্ভরশীল। পুরো পৃথিবীতে সব দেশ একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। পৃথিবীতে আমরা চাই স্থিতিশীলতা ও শান্তি। দেশ-বিদেশে শান্তি চাই, স্থিতিশীলতা চাই। শান্তি হলে মানবজাতির উন্নয়ন হবে।’
অশান্তির কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগেই আছে। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়েছে অশান্তির জন্য। তাদের ওপর নির্যাতনের জন্য। নির্যাতন একটি বড় কারণ হচ্ছে, মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ, একে অপরের প্রতি ধৈর্য এগুলো দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। যদি মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ থাকত তাহলে সব মানুষ সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এসব হিসেব করে জাতিগত কারণে, ধর্মের কারণে কিংবা বর্ণের কারণে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘাত সৃষ্টি করত না।’
‘দেশে দেশে সংঘাত হচ্ছে, কারণ আমরা একে অপরকে সম্মান দিতে জানি না। একে অপরকে আপন ভাই বা বোন হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সবসময় শান্তির অগ্রদূত জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তির জন্য চেষ্টা করে গেছেন। তার জীবনে যত আন্দোলন, সংগ্রাম সবকিছুর মূলে ছিল মানুষের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্যাতিত ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বাংলাদেশ সবসময় শান্তির ক্ষেত্রে অগ্রদূত। পৃথিবীর যেখানে অশান্তি সেখানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশে শান্তির জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে কাজ করছে বাংলাদেশ। শুধু পুরুষ নয়, আমাদের নারীরাও কাজ করছেন শান্তির জন্য। আমরা টেকসই শান্তি চাই।’
শান্তি সম্মেলন উপলক্ষে সাবেক ক্রিকেটার ও অভিনয় শিল্পীদের সমন্বয়ে টিম ইউনিটি এবং টিম হারমনি নামে দুটি দল টি-১০ প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয়। এতে টিম হারমনি টিম ইউনিটিকে ৩৪ রানে পরাজিত করেছে।
প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, মহাপরিচালক মেহেদী হাসান, অভিনয় শিল্পী রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, সিয়াম, মিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।