সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের পরিবেশ সৃজন করেছে - বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের পরিবেশ সৃজন করেছে - বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি রূপান্তরের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের পরিবেশ সৃজন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনেই প্রয়োজন হবে
৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায়ও ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় রেডিসন হোটেলে ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১-এর দ্বিতীয় দিনে ‘বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ শীর্ষক কারিগরি সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ২০৩০ সাল নাগাদ শতকার ৪৯ ভাগ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করে সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রিণ টেকনোলজির ব্যবহার বাড়ানোকে লক্ষ্য ধরে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান হালনাগাদ করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোকেও উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। সোলার ইরিগেশন, সোলার মিনি গ্রিড, বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রভৃতি মাধ্যম হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেন, হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়ে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। ক্লিন জ্বালানির প্রতি প্রথমেই গুরুত্ব দেয়া হবে। গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা আবশ্যক। কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসর’স এসোসিয়েশন (বিপপা)’র প্রেসিডেন্ট ইমরান করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আইএফসি’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিল্প অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের প্রধান ইসাবেল চ্যাটারটন (Isabel Chatterton), সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, সিংগাপুরের সেম্বকর্পের নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা বিপুল তুলি (Vipul Tuli), বাংলাদেশস্থ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং (Edimon Ginting) ও বাংলাদেশস্থ শেভরন-এর প্রেসিডেন্ট ইরিক এম ওয়াকার (Eric M Walker) বক্তব্য রাখেন।