রবিবার, ২৯ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ সদর | শিরোনাম » মেয়র আইভী ব্যবসায়ীদের উন্নয়নকাজে বাধা দিচ্ছে - সেলিম ওসমান
মেয়র আইভী ব্যবসায়ীদের উন্নয়নকাজে বাধা দিচ্ছে - সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে উদ্দেশ্য করে বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান এমপি বলেছেন, ভবনটি নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি টাকা আপনারা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ফেলেছি। আমরা একটা জায়গায় আটকে আছি। যেখানে জনপ্রতিনিধি যারা থাকেন তারা ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করলে ভাল থাকতে পারেন। কিন্তু এখানে আমাদের একটা সংস্থা আমাদের জায়গার সামনে একটা পাওয়ার স্টেশন বানিয়ে বসে আছেন। উনি (আইভী) আমাকে বলছিলেন আমাদের লেবাররা থাকবে আমি একটা টিন সেট তুলতে চাই। উনি এখন কখনো এটা সিটি কর্পোরেশনের জায়গা, কখনো রাজউকের জায়গা বলছেন। কার জায়গা সেটা আপনার দরকার কি? আপনার এলাকায় এতো বড় উন্নয়নশীল একটা কাজ আপনারা কেন আমাদের বাধা দিয়ে রাখছেন? কেন সামনের জায়গা দখল করে রাখলেন? কেন ছেড়ে যাচ্ছেন না? আপনি বাড়ি বানালেন এক জায়গায় আর ট্রান্সফমার বসায় রাখলেন আরেকজনের জায়গায়।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত সমবায় ব্যাংক ভবনে (বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে) অনুষ্ঠিত নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর এজিএম(২০১৯-২০২০, ২০২০-২০২১) অনুষ্ঠানে চাষাঢ়ায় বিকেএমইএ কমপ্লেক্স নির্মাণে বাধা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে সংগঠনটির সভাপতি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, জায়গাটা সিটি কর্পোরেশনের না। আরো ২ বছর আগে ভবনটি কমপ্লিট হতো। দেখা যেত সেই ভাড়ার টাকা দিয়েই বিকেএমইএ চলে যেত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল বলেই আমরা এখানে ভবনটি করছি। মেয়রের আছে অনুরোধ করবো আপনি অতিসত্তর এই জায়গাটা খালি করে দেন। আপনি কেন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছেন? এতোদিন কিছু বলি নাই। দরকার পড়লে আমরা সবাই যাবো। গিয়ে জানতে চাইবো কেন এই ট্রান্সফমার বসিয়ে আমাদের বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে। এই সংগঠনটির মাধ্যমে ৮৭ শতাংশ রেমিটেন্স আসে। আমরা উপায় না দেখলে আইনের আশ্রয় নিবো। নয়তো দেখা যাবে আমরা সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও করবো। আমরা ব্যবসায়ীরাও হরতাল করতে জানি। আমরা ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বসে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, আমি উনাকে (আইভী) অনুরোধ করছি অতিসত্তর বিকেএমইএ কমপ্লেক্সের সামনের জায়গাটা ছেড়ে দেন। জোর করে দখল করে রাখার চেষ্টা করবেন না। ওইটা ব্যক্তিগত মালিকানার জমি না। ব্যবসায়ীদের সাথে একটা সংস্থার এমন প্রতারণা কেন? যদি এটা রাজউকের জায়গা হয় তাহলে আমাদের কাছে আসুক। ব্যক্তি মালিকানা জায়গা হলে তারাও আসুক। কিন্তু এটা সিটি কর্পোরেশনের জায়গা না। জায়গা আমাদের তাও বলবো না কিন্তু জায়গা আপনার না। সুতরাং আপনি জায়গা ছেড়ে দেন। আমরা মালিক-শ্রমিক নয়তো রাস্তায় নামবো।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মঞ্জুরুল হক, আবু আহমেদ সিদ্দিক, মনসুর আহমেদ, ফজলে শামীম এহসান, মোস্তফা জামাল পাশা, আশিকুর রহমান, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, মোস্তফা মনোয়ার ভূঁইয়া, তারেক আফজাল, রাজিব দাস সুজয়, সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া, এম আই সিদ্দিক, নাসিমুল তারেক মঈন, রতন কুমার সাহা, নন্দ দুলালা সাহা, কবীর হোসেন, আহমেদ নূর ফয়সাল, ইমরান কাদের তূর্য, মজিবুর রহমান, আকতার হোসেন অপূর্ব, মোহাম্মদ শামসুল আজম, গাজী মো. শহীদুল্লাহসহ বিকেএমইএ’র তিন শতাধিক সদস্য কারখানার মালিকগণ।