শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
N2N Online TV
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » কারা বিদেশে টাকা পাচার করে জানি না: অর্থমন্ত্রী
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » কারা বিদেশে টাকা পাচার করে জানি না: অর্থমন্ত্রী
৫২৫ বার পঠিত
শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কারা বিদেশে টাকা পাচার করে জানি না: অর্থমন্ত্রী

---

কারা বিদেশে টাকা পাচার করে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমি বিদেশে টাকা পাচার করি না। আমি কীভাবে জানবো কারা টাকা পাচার করে? তিনি টাকা পাচারকারীদের তালিকা দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

শনিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে একটি বিল পাসের আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। খেলাপি ঋণ ছাড়িয়েছে এক লাখ কোটি টাকার বেশি। এসব বিষয়ে তারা অর্থমন্ত্রীর জবাব চান এবং একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি তোলেন।

টাকা পাচার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকভাবে বলেছেন দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের বলেছি, যারা পাচার করে তাদের তালিকা আমাকে দেন। আমি তো পাচার করি না। আমি বিশ্বাস করি আপনারাও পাচার করে না। সুতরাং পাচার কে করে, আমি জানবো কেমন করে, যদি আপনারা না দেন।’

এ সময় বিরোধী দলের সদস্যদের অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায়। তবে তাদের মাইক বন্ধ থাকায় বক্তব্য শোনা যায়নি। তাদের কথার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলেন। আপনারা লিস্ট দেন, পাচারকারীদের।’

তখন একজন সদস্য বলেন, ‘এটা অর্থমন্ত্রী বলবেন কারা পাচার করবে’। তখন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না অর্থমন্ত্রী বলতে পারবে না। আপনি যেটা জানেন আমিও সেটা জানি। বারবার আমি বলেছি, আমি জানি না। আমাকে জানিয়ে দেন।’

এ পর্যায়ে বিরোধী দলের একজন সদস্য কিছু একটা বলেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে প্লিজ কাম উইথ এ লিস্ট।’

আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালক হলো সে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর। সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থা, সবাই কিন্তু বলছেন আমরা ভালো করছি। আপনার কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে যে আমরা তাদের চাইতে অর্থনৈতিকভাবে পেছনে আছি, তাহলে ইন দ্যাট কেস ইউ কাম টু মি, আই উইল গেট ইউ টু দ্যা সল্যুশন।’

সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি এখন একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি ৩ শতাংশ কনট্র্যাকশন হয়েছে। কিন্তু দেশে এটি হয়নি। বলা হচ্ছে ২০৩৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিমাণ হবে সারা বিশ্বে ২৫তম। অথচ আপনারা যেভাবে বলেন মনে হয় দেশে কোনও অর্থনীতি নেই, কোনও ব্যাংকিং খাত নেই, দেশে কিছুই নাই। কিন্তু কিছুই যদি না থাকবে এগুলো বাদ দিয়ে আমরা উন্নতি করছি কীভাবে? এগুলো বাদ দিয়ে আমাদের প্রবৃদ্ধি আসছে কীভাবে?’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে, গ্রাহক বেড়েছে, আমানতও বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশসৃষ্টির পর থেকে সবচেয়ে কম এখন। ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের কোয়ার্টার পর্যন্ত ১লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এটা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। সবচেয়ে কম এখন। প্রত্যেকটা ব্যাংক লাভে আছে। ঋণ নিয়ে যারা অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ই-কমার্সের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। চলমান মামলা সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার।

এর আগে বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক বলেন, খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার বেশি। কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে রাজনীতিবিদ, আমলাসহ অনেকে টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এই অভিযোগে আমলা-রাজনীতিবিদদের বদনাম হয়। টাকা পাচার হয় কিনা, হলে কারা করে এটা বের করতে তিনি ব্যাংক কমিশন গঠন করে তদন্ত করার দাবি জানান।

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, অর্থমন্ত্রীকে আমরা অনেক প্রশ্ন করি, তিনি উত্তর দেন না। ঠান্ডা মাথায় এড়িয়ে যান। ই-কমার্সের নামে লুটপাট হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথর্মন্ত্রী বলছেন, দায় তার না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, দায় তার না। তাহলে কে দায় নেবে?

বিএনপির মোশাররফ হোসেন বলেন, রাঘব বোয়ালরা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে মেরে দিয়ে আয়েশী জীবনযাপন করছে। গরিব মানুষ ঋণ পায় না। কৃষকদের অল্প টাকা ঋণখেলাপির জন্য তার বাড়িতে যাওয়া হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে, যারা তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ব্যাংকে অনিয়ম-দুর্নীতি, পাচার হলে কত টাকা পাচার হয়েছে এসব বিষয়ে জানানো উচিত। এজন্য তিনিও একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি জানান।

এসব বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী ছিলেন নির্বিকার। বিরোধী এমপিদের বক্তব্যের জবাব দিতে উঠে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, যেহেতু বিলটি স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়েছিল, সেখানে এটি পরীক্ষা করেছে। তাই যাচাই বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। এটুকু বলেই তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

এরপর সংশোধনী প্রস্তাব তুলতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, এক লাখ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, উত্তর দিলেন না অর্থমন্ত্রী। হাজার হাজার কোটি টাকা চলে গেলো। দায় কে নেবে? এসব বিষয় জানাতে হবে। আশ্বস্ত করতে হবে। অর্থমন্ত্রী কথা কম বলেন, এটা ভালো। কিন্তু টু দ্যা পয়েন্ট উত্তর দিতে হবে।

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, তিনি (অর্থমন্ত্রী) কথা কম বলেন বললে ভুল হবে। উনি কথা বলেনই না প্রায়।

রুমিন বলেন, কাগজে কালমে মন্দ ঋণ এক লাক কোটি টাকার মতো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা ঋণ হিসাব করলে সেটা আসলে মোট সাড়ে চার লাখ কোটি টাকা। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ, আমলারা টাকা পাচার করেন, এমন শোনা যায়। কারা কত পাচার করে অর্থমন্ত্রী যদি পরিষ্কার চিত্র দেন তাহলে রাজনীতিবিদ ও সৎ আমলারা মুক্ত থাকতে পারেন।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, কথা কম বলা ভালো। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে কথা বলতে হয়। অর্থমন্ত্রী যদি মাঝে মধ্যে খুলে বলেন ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাহলে মানুষ জানতে পারে। না হলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়।

পরে সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী এসব প্রশ্নের জবাব দেন।



এ পাতার আরও খবর

দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ
ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার পড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত সালাম মুর্শেদী অবৈধভাবে বাড়ী দখল করেননি, তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ ও অনুনোমোদিত
ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারালো সুইজারল্যান্ড
তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ তথ্যমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ
মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার বাড়ি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইরানের উপ-মন্ত্রীর বৈঠক
বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট নিরাপদ : প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি নৌযোগাযোগের ওপর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে জঙ্গি ছিনতাই : রাফি ৭ দিনের রিমান্ডে

আর্কাইভ