শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | বিনোদন | শিরোনাম » মুক্তির পরেও আলোচনায় ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’
মুক্তির পরেও আলোচনায় ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’
ম্যাডাম ফুলিখ্যাত অভিনেত্রী সিমলা অভিনয় করেছেন ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমায়। শুরু থেকেই এটি আলোচনায়। মূলত অসম প্রেমের গল্প আর সিমলার কারণেই এটি আলোচনায়।
২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল এ সিনেমার কাজ। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে কাজ শেষ হয় চলতি বছর। মুক্তির অনুমতির জন্য সিনেমাটি জমা দেওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে। কিন্তু এটিকে ‘প্রদর্শন অযোগ্য’ ঘোষণা করেছিল সেন্সর বোর্ড।
অনেকে ভেবেছিলেন, সেন্সর বোর্ডে আপস করবেন সিনেমাটির নির্মাতা রুবেল আনুশ। কিন্তু তিনি তা করেননি। সিনেমা মুক্তি দিয়েছেন বিকল্প পথে। ইউটিউবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে সিনেমাটি দেখাচ্ছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে আলোচিত সিনেমা ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। মুক্তির পরও আলোচনার রেশ ধরে রেখেছে সিনেমাটি। মুক্তির পরও আলোচনায় এটি। প্রকাশের মাত্র একদিন পর সিনেমাটি দেড় লাখ ভিউ অতিক্রম করেছে।
পরিচালক আনুশ বলেন, ‘দর্শকদের সিনেমা হলে এটি দেখানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বাধ্য হয়ে ইউটিউবে মুক্তি দিয়েছি। দর্শক একপ্রকার হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এটি আসলে আশা করিনি। দর্শকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
আপনি আপিল করেননি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রুবেশ আনুশ বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে সেন্সর বোর্ডে আপিল করলে কোনো লাভ হতো না। আমি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্র ছাড়া কেউ নিতে চায়নি। তাই বিকল্প পথে সিনেমাটি মুক্তি দিয়েছি।’
এদিকে সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। কমেন্টস বক্সে পরিচালককে শুভ কামনাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। হাবিবুল্লাহ নামের একজন লিখেছেন, ‘এখনকার পৃথিবীতে এই অবস্থা। আনুশ ভাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন।’
আলিফ লিখেছেন, অসাধারণ লেগেছে মুভিটা, আমাদের দেশে এত সুন্দর মুভি হবে ভাবতেই পারিনি। আগামীতে এ রকম আরও হবে এই আশা করছি, শুভকামনা রইল। পরিচালক এবং এর সঙ্গে জড়িত সবার জন্য। মেহেদী হাসান জোয়ার্দার নামে আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম, মানে ২০১৪ সাল থেকে এই নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমাটি দেখতে উৎসুক ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। ভালোবাসা ও অভিনন্দন টিমের জন্য।’
সিনেমাটির নাম শুরুতে ছিল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘প্রেম কাহন’। সেন্সর না পাওয়ায় আগের নামে ফিরে গিয়েই মুক্তি দেওয়া হয় এটি। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা, মামুন, মনিরা মিঠু, সোহেল খান, মোহাম্মদ সালমান, নোভাই নোভিয়া, মুনমুন আহমেদ মুন, আকাশ মেহেদি, একে আজাদ সেতু, শিমুল খান প্রমুখ।