বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে : ইন্দিরা
নির্যাতন ও সহিংসতা নারীর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে : ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ধরণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ অন উইমেন এ্যাডভ্যান্সমেন্ট এন্ড জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি (LCG WGAE) এর যৌথ আয়োজনে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বাল্য বিয়ে নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। যা নারীকে,তার অধিকার ও ক্ষমতায়ন থেকে তাকে বঞ্চিত করছে।
জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার বদ্ধপরিকর এ কথা উল্লেখ করে ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত, সহিংসতা প্রতিরোধ এবং আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। এরই অংশ হিসেবে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ করা হয়েছে।
নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীসহ সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কোর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এজন্য কার্যকর কর্মপরিকল্পনা, মাল্টিসেক্টোরাল এপ্রোচ ও পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন বলেন, ডেনমার্ক সরকার বিগত একুশ বছর যাবত বাংলাদেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, সেল ও ট্রমা হেল্প সেন্টারকে উত্তম চর্চা হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ অনুসরণ করছে।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথারিন ডি স্টিভেন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন।
উল্লেখ্য, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষের এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচিতে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ন্যাশনাল ডায়ালগ, সেমিনার ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।