বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » সারাদেশের নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে - নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সারাদেশের নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে - নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু ঢাকার চারপাশের নদী নয়, সারাদেশের নদী রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নদীগুলো একদিনে দখল হয়নি; এটি দীর্ঘদিনের জট। দ্রুত কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। সেগুলো উদ্ধারে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ নদী নিয়ে চিন্তা করছে-এটাই সাফল্য। নদী রক্ষায় সবাইকে সম্পৃক্ত করছি-সেটি সফলতা। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। নদী ব্যবস্থাপনায় হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের নদীর নাব্যতা ও পলি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসীনুল করিম লেবুর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর সিনিয়র এডভাইজার ড. মমিনুল হক সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অখিল কুমার বিশ্বাস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদাত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘নদীগুলোর নাব্যতা কমে গেছে; নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সেসময় ৭টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত নদী খননের জন্য কোন ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে ৩৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। এর সুফল আমরা পাচ্ছি।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; নদীগুলো দখল হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ভিশনারি নেতৃত্ব ও কীর্তি যাতে না থাকে সেজন্য নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।