রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া গাড়িচালকের ডোপ টেস্ট করবে পুলিশ
রিকশা গুঁড়িয়ে দেওয়া গাড়িচালকের ডোপ টেস্ট করবে পুলিশ
রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার পাঁচ মাসের শিশুসন্তানকে আহতের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত স্কুলছাত্র তাসকিন আহমেদ মাদক গ্রহণ করেছিল কি না জানতে ‘ডোপ টেস্ট’ করবে পুলিশ।
রবিবার রাতে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার এই তথ্য জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গাড়ি চালানোর সময় তাসকিন মাদকাসক্ত ছিল কি না আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে এখনো আমরা এমন কোনো প্রমাণ পায়নি। আমাদের একটি টিম চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসছে। তাকে বুঝে পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে এবং তার ডোপ টেস্ট করা হবে। বিষয়টি রমনা থানা তদন্ত করে গণমাধ্যমে জানাতে পারবে। কারণ এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে রমনা থানায়।
এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশাচালক, আরোহী বাবা ও তার কোলের পাঁচ মাসের শিশুকে আহত করা প্রাইভেটকারটি জব্দ করে পুলিশ। ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তাসকিন আহমেদ বা তার পরিবার এই গাড়িটির মালিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গাড়িটির মালিক ওয়ারি থানার কামাল নামে এক ব্যক্তি।
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল হাসান ও তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হন। তিনি একটি রিকশা নিয়ে মগবাজার থেকে বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেইলি রোডে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার তাদের বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাচালক আনোয়ার ইসলামসহ গুরুতর আহত হন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্র ইব্রাহিম মোহাম্মদ বিন হাসান। দুর্ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, বেপরোয়া গতিতে ধাক্কা দেওয়ার ফলে ফখরুল হাসানের ডান হাত ভেঙে যায়, তার পাঁচ মাস বয়সী সন্তানের ডান পা ভেঙে গেছে। রিকশাচালকও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এছাড়া ফখরুল ও তার ছেলের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারা সবাই এখন চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর প্রাইভেটকারচালক কিশোর তাসকিন আহমেদ গাড়ি নিয়ে বাসায় ফিরে যান জানিয়ে বিপ্লব বলেন, ঘটনার পরদিন শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাসকিনের মাকে নিয়ে বাসে করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তার দাদার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে আবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তার খালার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকে। পরে দুই উপজেলার থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ঘটনার পর হাতিরঝিল থানার মীরবাগ এলাকায় তাসকিনের বাসা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়ির কাগজপত্র চেক করে দেখা গেছে এই গাড়ির মালিক তাসকিন বা তার পরিবারের কেউ না। ওয়ারি এলাকার কামাল নামের এক বাসিন্দা।
তাসকিনের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল কি না জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, তাসকিন আহমেদের জন্ম ২০০৬ সালে। সে হিসেবে তার বয়স ১৫ বছর। এই বয়সে তার লাইসেন্স থাকার কথা না। সে রাজধানীর একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সেখান থেকে ভর্তি বাতিল করে অন্যত্র ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন আইনজীবী বলে আমরা জানতে পেরেছি।