শনিবার, ২১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে তালেবান
ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে তালেবান
ক্ষমতা দখলের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না তালেবান যোদ্ধাদের কর্মকান্ডে। জাতিসংঘ জানায় ইতোমধ্যেই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সদস্যরা ন্যাটো ও আফগান সরকারের সহযোগী ব্যক্তিদের খোঁজে ঘরে ঘরে তল্লাশি করছে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমনটা জানায় জাতিসংঘ। খবর বিবিসি।
জাতিসংঘ জানায়, সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ঘরে ঘরে তল্লাশি পরিচালনা করে এসব ব্যক্তিদের খোঁজ করছে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান করছে। তাদের পূর্বে প্রদানকৃত বক্তব্য ও বর্তমান কর্মকান্ডের সঙ্গে কোনো ধরণের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরএইচআইপিটিও নরওয়েজিয়ান সেন্টার ফর গ্লোবাল অ্যানাইলাইসিসের প্রদত্ত তথ্যে দেখা যায় তালেবান যোদ্ধারা ন্যাটো সেনাদের সহযোগীদের সন্ধানে এ তল্লাশি পরিচালনা করছে। সংস্থাটি জাতিসংঘকে যাবতীয় গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরিকারক গ্রুপটির প্রধান ক্রিশ্চিয়ান নেলেম্যান জানান, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক তালেবানদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এটি এখন অনেকটাই পরিষ্কার। প্রতিবেদনের আলোকে তিনি জানান, এটা স্পষ্ট যে যদি এসব সহযোগী ব্যক্তিরা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ না করে তাহলে তারা এসব ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি পরিচালনা করবে। তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করবে। যদি এসব ব্যক্তিদের খোঁজ না পাওয়া যায় তবে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
নেলেম্যান জানান, যেসব ব্যক্তি তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন তারা বহুমুখী বিপদের আশঙ্কায় আছেন। সম্ভবত তারা গণ ফাঁসির সম্মুখীন হতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিদেশী শক্তিগুলো চেষ্টা করছে এসব ব্যক্তিদের আফগানিস্তান থেকে বের করে নিতে। শুক্রবার এক ন্যাটো কর্মকর্তা জানান, গত পাঁচদিনে কাবুল বিমানবন্দর ব্যবহার করে ১৮ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরো ছয় হাজারের বেশি মানুষ আগামী আফগানিস্তান ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। এসব ব্যক্তি বিদেশি সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও চলতি সপ্তাহে এসব ব্যক্তিদের আরো দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশে ব্যাপক বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে। তালেবান সদস্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক নাগরিকদের দেশত্যাগে বাধা সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।