বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » “এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স প্রতিরোধে দেশের ফার্মেসী ও ওষুধ কোম্পানিগুলির উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে” -স্বাস্থ্যমন্ত্রী
“এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স প্রতিরোধে দেশের ফার্মেসী ও ওষুধ কোম্পানিগুলির উপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে” -স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অনিয়মিতভাবে ও যত্রতত্রভাবে এন্টিবায়োটিক গ্রহন, হাস-মুর্গির ফার্ম বা মাছের ফার্মে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার, গবাদি পশুর খাদ্যে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগসহ নানাভাবে আমাদের দেহে চিকিৎসার অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে যা অত্যন্ত এলার্মিং। কিছু অসাধু ফার্মেসী বা ওষুধ কোম্পানিও এগুলো উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মানুষকে গ্রহন করতে উদবুদ্ধ করছে। এটি একটি অপরাধমূলক কাজ। ইতোমধ্যেই আমরা বেশকিছু ফার্মেসী ও ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছি। আগামীতেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হবে। নকল ওষুধ বিক্রি বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠান দোষী হিসেবে চিহ্নিত হবে ও শাস্তি ভোগ করবে।”
আজ বিকেলে মহাখালীর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা দিবস,২০২১ উৎযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক,এমপি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার দুঃসময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মানুষের জন্য ভ্যাক্সিন ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। এপর্যন্ত দেশের জন্য ২১ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ কোটি ডোজ ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে। হাতে ২ কোটির বেশি ভ্যাক্সিন আছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বস্তিবাসীদেরকেও ভ্যক্সিনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসব কারনে দেশ এখন নিরাপদ আছে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল আছে, স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে, ব্যাবসা বানিজ্য সাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগস সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি, আইসডিডিআরবি প্রতিনিধি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, ইউএসএইডের প্রতিনিধি, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ FAO,MTAPs,MSH,USP-PQM,Fleming Fund, ও দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ। বক্তারা দেশে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স প্রতিরোধে কাজ করতে সর্বসম্মতিক্রমে একাত্মতা প্রকাশ করেন।