শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
N2N Online TV
মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » খুলনা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রথম পাতা » খুলনা | ছবি গ্যালারী | শিরোনাম » সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪০৪ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

---

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা।
আজ সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৯৪৭ সাল হতে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ধাপে ধাপে তিনি জাতির মুক্তির জন্য পথ পরিক্রমা তৈরি করে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। এদেশ আমাদের সকলের।
জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান (পলাশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, যশোর আমিনিয়া আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, যশোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নীতি সন্নিবেশ করে গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে নিরাপদে এদেশে ধর্ম পালন করতে পারবে। প্রতিটি ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখতে সকল ধর্মের প্রতি নজর রেখে সকল ধর্ম ধর্মীয় সম্প্রদাযয়ের কল্যাণ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছেন। গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক বা ইউটিউবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বিশৃংখলাকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরে বিকেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য যশোর শহরের বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির এবং রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম পরিদর্শন করেন।



আর্কাইভ