রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » যারা পড়ালেখা না করে প্রশ্নফাঁসের পেছনে দৌড়ায় তাদেরও ধরা হবে
যারা পড়ালেখা না করে প্রশ্নফাঁসের পেছনে দৌড়ায় তাদেরও ধরা হবে
প্রশ্নফাঁস চক্রের দুই গ্রুপের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালিমুল্লাহ, আল-রাফি ওরফে টুটুল ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ ওরফে তপু। তাদের মধ্যে কালিমুল্লাহ টঙ্গী সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, আল রাফি টুটুল মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের মানবিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ডিবি বলছে, চক্রের সদস্যরা প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিছু ছাত্র ও অভিভাবক পড়াশোনাতে মনোযোগ না দিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্নপত্র কেনার জন্য ব্রাউজ করতে থাকে। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকরা মূলত এসব অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার নানা আকর্ষণীয় প্যাকেজের অফার দিত ইন্টারনেটের মাধ্যমগুলোতে। ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করে এবং যারা প্রশ্নপত্র কেনার চেষ্টা করে তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একাধিক টিম ঢাকার উত্তরা, গাজীপুরের পূবাইল থানা এলাকা ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি স্মার্টফোন, ২টি বাটন ফোন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও ৬টি সিম।
ডিবি প্রধান বলেন, চক্রটি মূলত বিভিন্নভাবে ভুয়া মেসেঞ্জার, ফেসবুক একাউন্ট খুলে মেসেঞ্জারে শতভাগ নিশ্চয়তা সহকারে বিভিন্ন বোর্ডের সকল বিষয়ের প্রশ্নফাঁস করার বিজ্ঞাপন দিত। প্রশ্নফাঁসের এই চক্রের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের প্রাথমিকভাবে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হতে হতো। এরপর প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতো। প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জন।
অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, পাবজি খেলায় পটু গ্রেপ্তার আল রাফি ওরফে টুটুল ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য আলমগীর হোসেন নামে একটি ফেকআইডি খোলে। আইডিটি খোলার জন্য সে একটি টেম্পোরারি মেইল আইডি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে। এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও টেম্পোরারি মেইলটি দুই থেকে তিনদিন সক্রিয় থাকার পরে অটোমেটিক্যালি ডিঅ্যাক্টিভেটেড হয়ে যায়।