শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » আইন আদালত | ছবি গ্যালারী | ঢাকা | শিরোনাম » সেই বিচারকের `ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া’ হচ্ছে
সেই বিচারকের `ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া’ হচ্ছে
রাজধানীর ঢাকার বনানীতে চার বছর আগে রেইনট্রি হোটেলে দু’জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া (পাওয়ার সিজ) হচ্ছে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন। ৭২ ঘণ্টা পরে ধর্ষণ মামলা না নেওয়ার জন্য ওই বিচারকের পর্যবেক্ষণ অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা থেকে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামিকে খালাস দেন।
এ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনায় ৭২ ঘণ্টার পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত প্রমাণ সম্ভব না। তাই ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পার হলে যেন মামলা না নেয়, পুলিশকে সেই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বিচারক।
এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। আইনজীবী, নারী অধিকারকর্মী, সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধবিজ্ঞানীসহ সচেতন মহলও এই মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।