বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | জাতীয় | ঢাকা | শিরোনাম » ‘পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা
‘পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রোলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের অধিক। তদুপরি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও চাহিদানুযায়ী বিপিসি’র আমদানি পরিকল্পনা ও আমদানিসূচি অনুযায়ী নভেম্বর মাসে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে এবং অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আগামী ডিসেম্বর মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানির আমদানিসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে আরো সুসংহত করবে। প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
‘প্রান্তিক বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে’ এবং ‘অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রোল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে’-এই সব বক্তব্য ভিত্তিহীন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত মূল্যে কোনক্রমেই কোনো পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রয় করতে পারবে না। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।